কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনের জন্য ১৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। 'এক ব্যক্তি-এক পদ' প্রথা ভেঙে শাসক দল দলীয় ছ'জন বিধায়ক ও একজন সাংসদের উপরই ভরসা করল।
গতবার ১২৬টি কাউন্সিলর ছিল তৃণমূলের। এবার তার মধ্যে ৮৭ জন কে প্রার্থী করা হয়েছে। ৭৮ জন জনপ্রতিনিধি আগের ওয়ার্ড থেকেই জোড়া-ফুল প্রতীকে লড়াই করবেন। বাকিরা লড়াই করবেন অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে। ৩৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে এবার আর প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই দেয়নি ঘাস-ফুল বাহিনী।
তৃণমূলে ঘটা করে 'এক ব্যক্তি-এক পদ' নীতি চালু হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় তার রেশ পড়ল না। কলকাতা পুরভোটে এবার ৬ জন বিধায়ককে প্রার্থী করেছে শাসক দল। অর্থাৎ গতবারের চারজন বিধায়ক, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার ও অতীন ঘোষ কাউন্সিলর হলেও ২১-য়ের ভোটে তাঁরা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু, এবার এই চারজনকে প্রার্থী করা ছাড়াও আরও দু'জন দলীয় বিধায়ককে কাউন্সিলর ভোটে লড়াইয়ে নামালো তৃণমূল। এছাড়াও পুরভোট লড়াই করবেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ও।
পুরভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। এবার কলকাতার তালিকা তৈরিতে মহিলা, যুব সমাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ।জোড়া-ফুলের প্রার্থীদের মধ্যে ৪০ জন পুরষ (৫৫ শতাংশ)। মহিলা প্রার্থী ৪৫ জন (৪৫ শতাংশ)। তফশিলি জাতিভুক্ত প্রার্থী রয়েছেন ১৯ জন। সংখ্যালঘু প্রার্থী ২৩ জন। এঁদের মধ্যে ২ জন খ্রিষ্টান।
শুক্রবার দুপুর গড়াতেই তৃণমূল নেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে যান ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এর কিছু পরেই সেখানে হাজির হল অভইষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় তিন ঘন্টা আলোচনা চলে। তারপরই প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত সিলমোহর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ১৪৪ ওয়ার্ডে শাসক শিবিরের প্রার্থী তালিকার বিষয়টি জানান। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মেয়র মুখ করে তৃণমূল কলকাতায় লড়াই করবে না। ভোটের ফলাফলের পরই মেয়র নির্বাচিত হবেন।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন