এবার কলকাতা পুরনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যও। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরের দিন থেকেই প্রচারেও নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। শুনছেন তাঁদের সমস্যার কথা। কাজরীদেবী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওপরে ভরসা করেছেন। সেই আস্থার মর্যাদার কথা মাথায় রেখে কাজ করবেন।
Advertisment
কেমন চলছে প্রচার? কাজরী দেবীর কথায়, 'প্রচার তো নয়, মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়। মানুষের যা সুযোগ-সুবিধা সেগুলো আমরা দেব। সেটা দেওয়ার জন্যই আমাদের আসা। এটা বলার দরকারও হচ্ছে না। আমাদের ওয়ার্ডে তেমন কোনও বড় অসুবিধাও নেই।' তাহলে কোন কাজগুলো ওয়ার্ডে এখনও বাকি রয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ বলেন,'বড় কোনও সমস্যা এখানে নেই। এখানে অনেকগুলো বস্তি আছে। সেখানে ছোটখাটো উন্নয়নের দিকটা দেখতে হবে। মৃৎ শিল্পীদের জায়গাগুলো পরিস্কার করতে হবে। আদিগঙ্গার ঘাটগুলো ভাঙাচোরা, পাড়গুলি সংস্কার করতে হবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্তিকবাবু দলের জয়হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জয়হিন্দ বাহিনীর অফিসে বসে কাজরীদেবী বলেন, 'প্রচারে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। আমরা বের হচ্ছি ৪-৫ জন। হয়ে যাচ্ছে ৪০০-৫০০জন। সব লোক এসে যোগ দিচ্ছেন আমাদের সঙ্গে। সকলের আশীর্বাদ পাচ্ছি।' দিদির বাড়ি থেকে প্রার্থী হয়েছেন, কেমন লাগছে? তিনি বলেন, 'ভালই লাগছে। দিদি আমাকে ভরসা করেছেন। আশীর্বাদ করেছেন। পদাধিকারী না থেকেও ১২ মাস কাজ করে থাকি। নির্বাচিত হলে আরও দায়িত্ব বেড়ে যাবে।'
পরিসংখ্যানের নিরিখে, ২০১৯ লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে ৪৯৬ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু পরে অবস্থার বদল ঘটে। ২০২১-এর উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ হাজারেরও বেশি ভোটের লিড পেয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন