ফের কেরালার সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক পদে বহাল করা হল কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণকে। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন এই পলিটব্যুরো সদস্য। কিন্তু তাঁর সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে ছিল অন্য কারণ। বালাকৃষ্ণণের ছোট ছেলে ব্যাঙ্গালুরুতে মাদক ও আর্থিক তছরুপের মামলায় গত বছর অক্টোবর থেকে জেল হেফাজতে ছিল। এ বছর নভেম্বরের জামিন পেয়েছে সে। তারপরই কেরালার সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক পদ ফেরানো হল বালাকৃষ্ণণকে।
শুক্রবার ছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক। সেখানেই কোডিয়ারিকে রাজ্য সম্পাদকের পর ফেরানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এম এণ মানি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
বালাকৃষ্ণণের অনুপস্থিতিতে কেরালা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদ অস্থায়ীভিত্তিতে সামলাচ্ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা এলডিএফ-এর আহ্বায়ক এ বিজয়রাঘবন।
দলীয় চাপ, নাকি ব্যক্তিগত কারণ, কেন পদ থেকে সরেছিলেন বালাকৃষ্ণণ? তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরে বেঙ্গালুরু থেকে অবৈধ মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করে কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণের ছোট ছেলে বীনেশ কোডিয়ারিকে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় বড় ছেলে বিনয়েরও। সেই সময় কেরালায় স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন ছিল। ফলে বালাকৃষ্ণণের শাসক ফ্রন্টের প্রধান দলের হয়ে পদ থেকে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এরপরই কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরে যান।
কোডিয়ারিকে ছাড়াই গত বছর স্থানীয় প্রশাসন ভোটে ভালো ফল করেছিল বামেরা। একুশের ভোটেও প্রবণতা ভেঙে ফের আগামী পাঁচট বছরের জন্য কেরালার শাসনভার গিয়েছে এলডিএফের হাতেই। চলতি বছর বিধানসভা ভোটে এই পলিটব্যুরে সদস্যকে তেমনভাবে দলের প্রচারে সক্রিয় হতেও দেখা যায়নি। কিন্তু, ছোট ছেলের জামিন পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের কেরালা সিপিএমের সম্পাদকের দায়িত্বে এই বর্ষীয়ান নেতা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন