আইন অনুসারে রাজ্য সরকার যে কাউকে পুর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারে বলে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা। গত ৩০ ডিসেম্বর আইন না মেনেই কাঁথির পুর প্রশাসকের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে ধাক্কা খেলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী এই নেতা।
সৌমেন্দু একজন নির্বাচিত কাউন্সলির। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে যাঁকে ওই পদ দেওয়া হয়েছে তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলর নন। এ ক্ষেত্রে কি কোনও প্রশাসনিক কারণ আছে? এদিন আদালতে সৌমেন্দুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানতে চান বিচারকের কাছে। জবাবে রাজ্যের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, পুর আইন অনুসারে রাজ্য সরকারের হাতে এই ক্ষমতা আছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে এমন একাধিক মামলারর রায়ও তুলে ধরেন তিনি। পরে রায় বিচারপতি অরিন্দম সিনহা জানান আইন অনুসারে রাজ্য সরকার যে কাউকে পুর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারে।
সৌমেন্দু অধিকারীকে ২০১৯ সালের মে মাসে কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করে রাজ্য সরকার। কিন্তু দাদা শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পরই পরিস্থিতি পাল্টায়। ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সৌমেন্দুকে কাঁথির পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরই ৩১ ডিসেম্বর আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু অধিকারী। নতুন বছরের শুরুতেই অবশ্য জোড়া-ফুল ছেড়ে দাদা শুভেন্দুর সভায় পদ্ম শিবিরের নাম লেখান সৌমেন্দু সহ মোট ১৫ জন কাঁথির কাউন্সিলর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন