মেয়ের নথিতে সইয়ের দাবিতে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর অবস্থান ধর্না। জবাবে স্বামীর এফআইআর, স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার, তারপর জামিন। পাল্টা অভিযোগ দায়ের স্ত্রীর। মহানাগরিক ও ফার্স্ট লেডির মধ্য়ে গত কয়েক মাসের টানাপোড়েনে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোন সিদ্ধান্তেও আসতে পারছেন না। কড়া সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এদিকে সোমবার মহেশতলায় উপনির্বাচন। সেখানে প্রার্থী মেয়রের শ্বশুর দুলাল দাস। যদিও তাঁর বক্তব্য়, বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব পড়বে না উপনির্বাচনে।
বিগত কয়েক মাস ধরে শোভন ও রত্নার কাহিনী বহুল চর্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিক মহলে নয়, কলকাতাবাসীর কাছেও রোজকার আলোচনার বিষয়বস্তু শোভন-রত্না কাহিনী। দুজনের মধ্য়ে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলাও চলছে। এবং চলছে দলের অভ্য়ন্তরে এই নিয়ে গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ব্য়বস্থা নেওয়া যাচ্ছে না শোভনের বিরুদ্ধে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক রাজ্য় নেতা বলেন, “শোভনের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে গেলে ভাবতে তো হবেই। প্রথম থেকে দলের দুর্দিনে পাশে ছিল শোভন। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম। যদিও এখন শোভনের কার্যকলাপে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে না এমন নয়।”
আরও পড়ুনঃ মেয়রের অভিযোগে গ্রেফতার ফার্স্ট লেডি, পরে জামিন
পরের প্রশ্ন, দল থেকে সরিয়ে দিলেও মেয়র পদ থেকে কীভাবে সরানো হবে শোভনকে? তিনি মেয়র পদ থেকে ইস্তফা না দিলে কী হবে? উপরোক্ত ওই নেতার মতে, মেয়র পদ থেকে সরাতে গেলে অনাস্থা আনতে হবে পুরসভায়। বিরোধীরা শোভন ইস্য়ুতে হই হই করে ময়দানে নেমে পড়বে। তখন সামলাবে কে?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহূর্তে কোনও ব্য়বস্থা নিলে তার পুরো ফায়দা নেবে বিজেপি। এদিকে ব্য়বস্থা না নিলে দলে প্রশ্ন উঠবে। তাই অনেক অঙ্ক কষতে হচ্ছে। পুরসভায় শোভন অনুগামী কাউন্সিলরের সংখ্য়াও যে কম নয় তাও জানেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন, শোভন কাঁটা গলা থেকে ছাড়ানো খুব সহজ হবে না। আপাতত শুধু সময়ের অপেক্ষা করা ছাড়া নেতৃত্বের কাছে বিকল্প নেই।