Advertisment

নাম বদল বিতর্কে মোদী-মমতাকে এক সূত্রে গাঁথলেন সেলিম-সোমেন, প্রশ্ন তুললেন অভিষেকও

বিরোধিতার মধ্যেও বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের গলায় বিজেপি-তৃণমূলের থেকে সমদূরত্বের নীতি বজায় রাখার প্রয়াস বজায় রইল। অন্যদিকে, এতে দেশের মূল সমস্যার কোনও সমাধান হবে না' বলে কটাক্ষ করেন যুব তৃণমূল সভাপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নরেন্দ্র মোদী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহঃ সেলিং ও সোমেন মিত্র।

কলকাতা বন্দরের নয়া নামকরণ ঘিরে বিতর্ক। বিরোধীদের নিশানায় কেন্দ্রের শাসক শিবিরের 'পোস্টার বয়'। কলকাতা বন্দরের এখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর নামেই পরিচিত। রবিবারই বন্দরের নয়া নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপরই মোদীকে নিশানা করে তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'নাম বদলে আপত্তি না থাকলেও এতে দেশের মূল সমস্যার কোনও সমাধান হবে না' বলে কটাক্ষ করেন যুব তৃণমূল সভাপতি। মোদী-মমতাকে এক সূত্রে গেঁথে প্রধানমন্ত্রীকে 'নেম চেঞ্জার' বলে খোঁচা দেন সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। মোদী-মমতাকে 'একই মুদ্রার দু'পিঠ' বলে সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

Advertisment

বাংলার প্রতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা বিবেচনা করে কলকাতা বন্দরের নাম তাঁর নামেই করা হল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যুব দিবসে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বাংলার যুবকরা খুব বেশি উপকৃত হবেন না বলেই মনে করেন তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 'কলকাতা বন্দরের নাম পশ্চিমবঙ্গের এক স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে রেখেছেন, ভাল কথা। এতে আপত্তি নেই। কিন্তু, তাতে বাংলার সাধারণ মানুষের খুব একটাা লাভ হবে না। এর বদলে প্রধানমন্ত্রী যদি বন্দর বা জলপথ উন্নয়নের কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতেন তাহলে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ত। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যথার্থ উপহার হত তা।'

প্রধানমন্ত্রী কেন বাংলার উন্নয়, কেন্দ্রের থেকে বকেয়া আর্থিক পাওনা নিয়ে নীরব রইলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের এই যুব সাংসদ। টুইটে তিনি লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী কেন সবসময় বিজেপি শাসিত ও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে বৈষম্য করেন। কেন বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের ঔদাসিন্যের শিকার হতে হবে।'

আরও পড়ুন: কলকাতা বন্দরের নতুন নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর

নাম বদল বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একসূত্রে বেঁধে সমালোচনায় মুখর হন সিপিআইএমম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানমুখি নতুন কোনও উদ্যোগের ঘোষণা করতে পারতেন। গভীর সমুদ্র বন্দর, কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে কিছুই বললেন না। উনি গেম চেঞ্জার নন, মমতার মতোই নেম চেঞ্জার।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কথায়, 'মোদী ও দিদির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এঁরা হলেন একই মুদ্রার দু'পিঠ।' বিরোধিতার মধ্যেও বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের গলায় বিজেপি-তৃণমূলের থেকে সমদূরত্বের নীতি বজায় রাখার প্রয়াস বজায় রইল।

বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত বা উজ্জ্বলা প্রকল্প রূপায়ণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যা নিয়ে রবিবার রাজ্য সরকারকে 'সিন্ডিকেট' খোঁচা দেন মোদী। যার পাল্টা হিসাবে তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, 'তাঁর (মোদী) মুখে কাট মানির কথা মানায় না। উনি শিশুসূলভ কথা বলছেন।'

Read  the full story in English

CPIM tmc CONGRESS PM Narendra Modi
Advertisment