শাসক দলের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায় বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা এবং কংগ্রেস। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে তা খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে যারা রয়েছেন, তাঁদের উঠে দাঁড়াতে বলেন অধ্যক্ষ। বিধানসভায় উপস্থিত থাকা ২৯৪ জন বিধায়কের ৩৭জন উঠে দাঁড়ান। অনাস্থা প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য যা যথেষ্ট। তা সত্তেও প্রস্তাব খারিজ করে দেন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরতির সময়, বিধানসভার ব্যাবসা সংক্রান্ত অ্যাডভাইজারি কমিটির পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়, সময়াভাবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বুধবার বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়। অধিবেশন শুরু হলে সেই কথাই বিধায়কদের সামনে ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ। বাম এবং কংগ্রেস মিলিত ভাবে অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ জানায়।
আরও পড়ুন, শিক্ষকদের বেতন নিয়ে কথা বলার অনুমতি নেই! বিধানসভা বয়কট করল বাম-কংগ্রেস
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিধানসভায় কোনও গণতন্ত্রই নেই। দুই দলের বিধায়করাই স্লোগান আওড়াতে থাকেন। সভাকক্ষের আসনে কাগজ ছোড়াছুড়িও হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। অশান্তির মাঝেই বিধানসভা বয়কট করে বেরিয়ে আসেন বিরোধীরা।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আমি একটি অনাস্থা প্রস্তাবের বিজ্ঞপ্তি পেয়েছিলাম। প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম যে সংখ্যা প্রয়োজন, বিরোধীদের কাছে তাও ছিল। কিন্তু খুবই সংক্ষিপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি"। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বলে শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন বামনেতা এবং বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। টুইট করে বলেছেন, রাজ্যে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে।
Read the full story in English