একুশের নির্বাচনের আগে ফের বড় ধাক্কা মমতা শিবিরে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরপরই তৃণমূলের হাত থেকে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা ভাতজংলা পঞ্চায়েত কার্যত ছিনিয়ে নিল বিজেপি।
শনিবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতর থেকে এদিন মুকুল রায় জানিয়ে দেন যে ভাতজংলা গ্রামপঞ্চায়েতের ৬ জন তৃণমূল সদস্য ঘাসফুল ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্মফুলে। এর ফলে ভাতজংলা গ্রামপঞ্চায়েত সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন ভাতজংলা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ২৭ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েত ভাতজংলা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল ৯টি আসন। আজ তৃণমূলের ৬ জন সদস্য পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ায়, বিজেপির দিকে সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। অন্যদিকে, তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা ৮-এ নেমে গেল।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, “আজ থেকে ভাত জংলা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করল ভারতীয় জনতা পার্টি। কৌশিক ঘোষের নেতৃত্বে এই দলবদল সম্পন্ন হল আজ। স্বাভাবিকভাবেই এই দলবদল খুব গুরুত্বপূর্ণ।” যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছে কৌশিক ঘোষ, চম্পা বিবি তরফদার, গৌরী সরকার, রেখা দাস, উত্তম বিশ্বাস। রাজ্যে আট দফার ভোট নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ছোট-বড় নেতারা।
একদিকে যেমন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই তৃণমূলের থেকে আস্ত একটি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল গেরুয়া শিবির। এর আগে বহু নেতা পদ্ম শিবিরে যোগদান করলেও ফের তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন সেই সকল নেতারা। এরপর থেকে পঞ্চায়েত দখলের কাজ বন্ধই রেখেছিল গেরুয়া শিবির। যদিও নির্বাচনের আগেই এই পঞ্চায়েত দখল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন