ত্রিপুরা সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে পোস্ট মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের৷ পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের৷ ত্রিপুরায় সরকারি চাকরির পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে টুইটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ টুইটে রাজ্য সরকারের কাছেই পরীক্ষাসূচি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ মন্ত্রী হয়েও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারি চাকরির পদ্ধতিতে কেন অনাস্থা? পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল৷ টুইটে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘কী অবস্থা! মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি বিষয় বলার সুযোগ দলের সিনিয়র বিধায়কেরই নেই। পোস্ট করতে হয়।’’
ত্রিপুরায় সংগঠন পোক্ত করার কাজে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল৷ পড়শি রাজ্যের সব রাজনৈতিক গতিবিধি নজড় এড়াচ্ছে না তৃণমূলের৷ ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন৷ কিন্তু তৃণমূলে সেবার বেশিদিন স্থায়ী হননি সুদীপ৷ ২০১৭-তেই ফের পালাবদল৷ সুদীপ সঙ্গী আরও পাঁচ তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে৷ বর্তমানে সুদীপ রায় বর্মন বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার একজন সদস্য৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার নানা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে সুদীপের৷ বিপ্লবের আস্থাভাজন বলে মোটেই পরিচিত নন সুদীপ৷ যদিও এতদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এভাবে প্রকাশ্যে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি সুদীপকে৷
আরও পড়ুন- মোদী-বিরোধী জোট পোক্ত করার লক্ষ্যে সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে থাকবেন মমতাও
ত্রিপুরায় তৃণমূল ফের জমি শক্ত করার কাজে হাত দিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব সুদীপ৷ তাঁর সরকারের কাজেই সন্তুষ্ট নন তিনি৷ তবে কি এবার ফের একবার তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত সুদীপের? বিষয়টি এখনও স্পষ্ট না হলেও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল৷ টুইটে ত্রিপুরার সরকারি চাকরির পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিপ্লব দেবের সরকারের এই মন্ত্রী৷ টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘জানার অধিকার রাজ্যবাসীর রয়েছে। এই সার্বিক প্রেক্ষাপটে আমি উল্লিখিত পরীক্ষা কর্মসূচি বাতিল করার জন্য ফের আরেকবার সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এবং গোটা বিষটির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যের এই মন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘‘এই সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করতে পি আর সি বাধ্যতামূলক হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপ রায় বর্মন তাঁরই সরকারের কাজে এভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করায় পাল্টা মাঠে নেমেছে তৃণমূলও৷ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘‘সরকারি চাকরির পরীক্ষা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ বর্মণের পোস্ট। কী অবস্থা! মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি বিষয় বলার সুযোগ দলের সিনিয়র বিধায়কেরই নেই। পোস্ট করতে হয়।’’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন