জামিনে মুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের ফের গ্রেফতারের ছক কষছে ত্রিপুরা পুলিশ, টুইটে এমনই অভিযোগ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের৷ ‘‘গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি।’’ টুইটে ত্রিপুরার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিপ্লব দেবের সরকারকে নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ৷
উল্লেখ্য, গত শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতারা। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। পরে ত্রিপুরার খোয়াই থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলে মহামারী আইন ভঙ্গের অভিযোগে দেবাংশু, সুদীপ সহ ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন৷ এরপর গতকালই ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছয় জনের নামে এফআইআর দাযের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ৷ আজ সকালে ত্রিপুরায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতার গাড়িচালককেও৷ গতকাল রাতভর ত্রিপুরার আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছে বলে অভিযোগ কুণাল ঘোষের৷
আরও পড়ুন- সংসদের বাইরে বিরোধী ঐক্য মজবুত রাখতে সক্রিয় সনিয়া! শরদ-মমতা-স্টালিনের সঙ্গে কথা
টুইটে এদিন কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘‘আমবাসা। রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি পুলিশের হানা। তুলে নিয়ে যাওয়া। অন্ধকারে অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি।’’
ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপি পুলিশ দিয়ে তৃণমূলকে রোখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ৷ অপর একটি টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমবাসা। রাতভর পুলিশি তান্ডব। তৃণমূলের সেদিনের গাড়ির চালকসহ একাধিক গ্রেপ্তার। জয়া, সুদীপ, দেবাংশুসহ সেদিন জামিনপ্রাপ্তদের নতুন করে গ্রেফতারের ছক। ইতিমধ্যেই স্থানীয় দুজনের বাড়ি পুলিশ। রাতের অন্ধকারেই বিজেপির দলদাসদের অতিসক্রিয়তা। ভয় পেয়েছে বিজেপি।’’
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন