রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগেই দলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদককে তলব করল ত্রিপুরার পুলিশ। আগরতলা পশ্চিম থানায় ডেকে পাঠানো হল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। টুইটে কুণাল ঘোষের দাবি, শুক্রবার রাতেই তাঁকে নোটিস ধরানো হয়েছে এবং বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যেই অর্থাৎ আজই থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবারের সফর উপলক্ষে বর্তমানে ত্রিপুরাতেই রয়েছেন কুণাল ঘোষ।
কেন কুণাল ঘোষকে তলব?
এ দিন টুইটারে তাঁকে আগরতলা পুলিশের তলবের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূলের এ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পুলিশের একদিনের নোটিসে ডেকে পাঠানোর বিষয়টিকে 'বেনজির' বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, "আমি হিন্দু হয়েও বলছি 'জয় শ্রীরাম' রাজনৈতিক শ্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতালপ্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন। এ কথার জন্য শুক্রবার আগরতলা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে। গভীর রাতে নোটিশ ধরিয়েছে। বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে।"
এর আগেও চলতি বছর অগস্টে খোয়া থানায় পুলিশের কাজে বাধা, বচসার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
তার আগেই কুণাল ঘোষকে পুলিশের তলব বেশ তাৎপর্যবাহী। কুণাল ঘোষ মনে করছেন, 'পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাতার বাড়ছে। প্রতিবাদ করছে তৃণমূল। আগরতলায় কর্মসূচি চলছে। তার থেকে নজর ঘোরাতে পুলিশ আমাকে ডাকছে, মামলা করছে, আমাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তবে আমি থানায় যাবো। গ্রেফতার করলে করবে।'
ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারে মরিয়া তৃণমূল। নেতৃত্বে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও সে রাজ্যে গিয়ে বারে বারেই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে দলের একাধিক সাসংসদ, মন্ত্রী, নেতৃত্বকে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম কুণাল ঘোষ। রবিবার ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক। দিন কয়েক আগে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্পিতা দেবের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে বিজেপির সন্ত্রাস, ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল৷ রাজ্যপালকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। ফলে সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন