লখিমপুরকাণ্ডে মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশ সরকার গঠিত সিট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ, কৃষকদের পিষে মারার ঘটনা 'পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র'। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযুক্ত পুত্র আশিস মিশ্র সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় অর্থাৎ খুনের চেষ্টার মামলা রুজুর জন্য সিট আদালতের থেকে অনুমতি চেয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সেই আঁচ বুধবার পড়েছে সংসদে।
উত্তরপ্রদেশের বিশেষ তদন্তকারী দলের দেওয়া রিপোর্টের উপর আলোচনা চেয়ে এ দিন লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছেন রাহুল ৷ কিন্তু লোকসভার অধ্যক্ষ তাতে রাজি হননি। এরপরই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করতে থাকে। ফলে বিরোধী সাংসদদের চেঁচামিচিতে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।
পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল বিরোধীদের দাবি 'ভিত্তিহীন' বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, লখিমপুর খেরির বিষয়টি বিচারাধীন। ফলে তদন্ত-বিচারের শেষেই সব সিদ্ধান্ত হবে।
লোকসভার পাশাপাশি এ দিন রাজ্যসভাও সরগরম ছিল লখিমপুর ইস্যুতে। সঙ্গে রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের উপর থেকে সাসপেনশনের শাস্তি প্রত্যাহারেও দাবি জানান বিরোধী দলের সাংসদরা। কোনও ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওার ইস্যু খুঁজে না পেয়েই বিরোধী সাংসদরা অধিবেশন চলতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পিযূস গোয়েলের। তিনি জানান, লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধি ও রাজ্যসভায় করোনার বর্তমানে অবস্থা, ওমিক্রন নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু বিরদীদের আচরণের ফলে সাংসদে আলোচনা সম্ভব হল না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন