লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের সাংসদ পদে পুনর্বহাল। বিজ্ঞপ্তি জারি করল লোকসভা সচিবালয়। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কাভারত্তির একটি আদালত এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে কেরালা হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা স্থগিত করে। এর পরই সাংসদ পর ফিরে পাওয়ার আবেদন জানান মহম্মদ ফয়জল। তবে তার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি লোকসভা সচিবালয়। আজ 'সুপ্রিম' শুনানির আগেই এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলের লোকসভা সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা সচিবালয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে। এর সঙ্গে ফের লক্ষদ্বীপের সাংসদ পদে বহাল হলে ফয়জল। উল্লেখ্য, ফয়জল এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও দায়ের করেছিলেন, যার উপর শুনানি চলছে।
কাভারত্তির আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, মহম্মদ ফয়জল কেরালা হাইকোর্টে একটি আপিল দায়ের করেছিলেন, সেখানে ২৫ জানুয়ারি তার সাজা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর মহম্মদ ফয়জল লোকসভা সচিবালয়কে তার সংসদপদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান কিন্তু একাধিকবার আবেদনের পরেওও মহম্মদ ফয়জলের সংসদ সদস্যপদ ফেরানো হয়নি।
আরও পড়ুন: < কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করল নির্বাচন কমিশন >
বড় স্বস্তি পেলেন লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। লোকসভা সচিবালয় তার সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করেছে। বুধবার লোকসভা সচিবালয় লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের লোকসভা সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করেছে। সুপ্রিম কোর্টে তার আবেদন খতিয়ে দেখার কয়েক ঘণ্টা আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে হাইকোর্ট তার সাজা মুকুব করার পরও লোকসভা সচিবালয় তার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়নি। ২৫ জানুয়ারি কেরালা হাইকোর্ট তাঁর সাজা স্থগিত করে।
১৩ জানুয়ারি লোকসভা সচিবালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ফয়জলকে ১১ জানুয়ারি লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। ফয়জল তার আইনজীবী কে আর শশিপ্রভুর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে হাইকোর্ট ২৫ জানুয়ারি তার সাজা স্থগিত করার পরেও লোকসভা সচিবালয় বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করেনি। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির কিছুসময় আগে, তাঁর লোকসভা সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করা হয়।
সাংসদ পদ ফিরে পেলেন লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল, রাহুল গান্ধীর জন্যও এ এক বিরাট স্বস্তির খবর। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পথ অনেকটাই খুলে গেল রাহুল গান্ধীরও। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লোকসভা থেকে পদ বাতিল হয় লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের। বিরাট স্বস্তি পেলেন NCP-এর লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। লোকসভা সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। এর পর রাহুল গান্ধীর জন্যও সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার রাস্তা খুলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাভারত্তির একটি দায়রা আদালত এনসিপির লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল খুনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় যার জেরে মহম্মদ ফয়জল তাঁর লোকসভার সদস্যপদ হারান । ফয়জল এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে তার সাজা মুকুব হয়।একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছানোর পর ফয়জলের লোকসভা সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
'মোদী উপাধি' নিয়ে শাস্তির পর রাহুলের সদস্যপদ বাতিল
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে 'মোদী উপাধি' নিয়ে মন্তব্য করায় মামলার শুনানির সময়, গুজরাটের সুরাট আদালত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর পর লোকসভা সচিবালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাহুল গান্ধীকে লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ হারানোর পরে, কংগ্রেস দল দেশ জুড়ে প্রতিবাদ করে এবং এটিকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করে।
ফয়জল মামলায় পুরো বিষয়টি কী ছিল?
১৪ বছরের একটি পুরনো খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সংসদে লক্ষাদীপের এনসিপি সাংসদ ছিলেন। সাংসদ মহম্মদ ফয়জল সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সাঈদের জামাই মহম্মদ সালিহকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে, মামলা চলছিল লাক্ষাদ্বীপের আদালতে। অবশেষে চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এই সাজা ঘোষণার পর পর ফয়জলকে এনসিপি সাংসদ পদ ছাড়তে হয়।