'দুয়ারে সরকার' বা 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধান' কর্মসূচির মাধ্যম মানুষের কাছে পৌঁছতে তৎপর শাসক শিবির। ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁদের চাহিদা বুঝতে পাল্টা কর্মসূচির কথা জানালো বঙ্গ বিজেপি। আগামী ২ তারিখ থেকে সমগ্র জানুয়ারি মাসজুড়ে রাজ্যব্যাপী 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচির ঘোষণা করা হল।
সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছে অমিত শাহ। ৫ বছর সময় দিলেই হবে প্রতিশ্রতিপূরণ দিন। কিন্তু কীভাবে হবে সোনার বাংলা? 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করেই লক্ষ্যপূরণের কথা ভাবছে পদ্ম বাহিনী। স্থির হয়েছে ৫০ জনের দল গঠন করে রাজ্যজুড়ে ১০টি বিষয়ের উপর প্রচার চালানো হবে। যে ১০টি বিষয় নিয়ে লক্ষ্য সোনার বাংলা কর্মসূচি হবে সেগুলো হল সুশাসন, অর্থনীতি, দারিদ্র, কৃষকদের উন্নয়ন, পরিকাঠামো, যুব সমাজের কর্মসংস্থান, নারী নিরাপত্তা, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সাংস্কৃতিক উত্তরণ ও শিক্ষার নতুন দিশা।
নেতির রাজনীতি বাদ দিয়ে গঠনমূলর কাজের মাধ্যমেই ভোটারদের বার্তা দিতে মরিয়া বিজেপি। নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে পদ্ম শিবিরের নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তর জানিয়েছেন, 'বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছব। পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা কী ভাবছি সেটা তুলে ধরব। এর পাশাপাশি আমরাও তাঁদের ভাবনা জানার চেষ্টা করবো।'
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক তথা রাজ্যসভার সাংসদ স্বপনবাবু দাশগুপ্ত বলেন, ‘নিজেরা দাবি করলেই এক নম্বর হওয়া যায় না। পরিকল্পনা আর পরিশ্রম প্রয়োজন। অন্যরা যখন নম্বর ওয়ানের স্বীকৃতি দেয় সেটাই আসল। আমরা এই রাজ্যকে সেই সোনার বাংলাই বানাতে চাই।’
শুধু রাজ্য সরাকেরর কাজের সমালোচনা নয়, ক্ষমতায় এলে তাঁরা কী করবেন নয়া কর্মসূচির মাধ্যমে তারই আভাস দেওয়ায় চেষ্টায় মুরলীধর সেন লেনের কর্তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন