পশুখাদ্য কেলঙ্কারির মামলায় আপাতত তিনি জেলবন্দি। তাঁর এই বন্দিদশা ঘুচতে এখনও ঢের বাকি। আর এই বন্দিদশার জেরেই তিনি ভেঙে পড়েছেন। হ্যাঁ, লালুপ্রসাদ যাদব অবসাদে ভুগছেন। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডিরেক্টর আর কে শ্রীবাস্তব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে আরআইএমএসের ডিরেক্টর শ্রীবাস্তব জানান, যে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখছেন, তাঁরাই রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে লালুপ্রসাদ অবসাদে ভুগছেন। এইমস হাসপাতালে প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর চিকিৎসা চলাকালীনও সেসময় রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে তিনি অবসাদের শিকার। একথাও এদিন জানান আরআইএমএসের ডিরেক্টর।
তবে কি লালুপ্রসাদ যাদবের চিকিৎসায় কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকছেন? সে ব্যাপারে অবশ্য খোলসা করে কিছু বলেননি শ্রীবাস্তব। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতির মামলায় লালুর বাড়িতে যে কালো মেঘের ছায়া নেমে এসেছে, তাতে লালুর স্বাস্থ্য আরও ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া লালুর দুই পুত্রের লড়াইও তাঁর চিন্তা বাড়িয়েছে বই কমায়নি।
আরও পড়ুন, বিজেপিকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হতে হবে: মনমোহন সিং
প্রসঙ্গত, তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবকেই বেশি পছন্দ লালুপ্রসাদের। কিন্তু লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের জনসমর্থন বেশি। বৌদ্ধগয়া থেকে পাটনা পর্যন্ত তেজস্বীর সাইকেল মিছিলের পাল্টা হিসেবে পাটনা থেকে সিতাব দিয়ারা পর্যন্ত পদযাত্রা করেছেন তেজ প্রতাপ যাদব।
উল্লেখ্য, আরআইএমএস হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে লালুপ্রসাদ যাদবকে রাখা হয়েছিল, সেখানে মশার উপদ্রব, কুকুরের চিৎকারে বিরক্তির কথা জানান তিনি। সেইমতো তাঁর আর্জি মেনে গত বুধবার হাসপাতালের পেয়িং ওয়ার্ডে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। এ প্রসঙ্গে শ্রীবাস্তব জানান, বর্তমানে হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে রয়েছেন লালুপ্রসাদ, সেজন্য আরজেডি সুপ্রিমোকে রোজ হাজার টাকা করে দিতে হবে। জেল সুপারের অনুমতি পাওয়ার পরই হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে লালুকে স্থানান্তরিত করা হয় বলেও জানান ডিরেক্টর।