বিহারে উপনির্বাচনে দলের সাফল্যে কিছুটা হলেও ফ্যাকাশে মুখে হাসি ফুটেছিল লালুর। কিন্তু সেই হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। লালুর অস্বস্তি বাড়িয়ে সোমবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে এদিন ফের দোষী সাব্যস্ত হলেন আরজেডি সুপ্রিমো। ২১, ২২ ও ২৩ মার্চ আদালতে সওয়াল জবাবের পরে, এই মামলার শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। তবে এই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন সে রাজ্যের আরেক মুখ্যমন্ত্রী।
আদালতের এই রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী ও সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে আরজেডি। রায় প্রসঙ্গে আরজেডি নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিং বলেন,‘‘আজব খেলা খেলছেন নরেন্দ্র
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলার মত দুমকা ট্রেজারির মামলাতেও রেহাই পেলেন জগন্নাথ মিশ্র।
মোদি ও নীতীশ কুমার। একজন ছাড়া পেয়ে গেলেন, আরেক জনের জেল হয়ে গেল।’’
এদিন আদালতে আসেননি লালুপ্রসাদ। অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি বিহারের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে দেওঘর ট্রেজারির মামলায় সাড়ে ৩ বছরের কারাবাসে রয়েছেন লালু। ২০১৩ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির প্রথম মামলায় তাঁর ৫ বছরের কারাবাসের সাজা হয়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ১১ বছর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না আরজেডি সুপ্রিমো। পরে অবশ্য এই মামলায় জামিন পেয়ে যান তিনি। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় মামলাতে সাজাপ্রাপ্ত হন লালু। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলাতেও (চাইবাসা ট্রেজারি) দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এই মামলায় তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পঞ্চম মামলার রায় দেবে আদালত।