মণিপুরে দুই নারীর বেআব্রু নির্বাতন কবিতা হয়ে কাঁদল ডিএমকে সাংসদের কলমে। যার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠল নির্যাতিতাদের যন্ত্রণা। সেই সব লাইন দিয়েই ডিএমকে সাংসদ ডক্টর সুমাথি তাঁর কবিতা 'পু নাগাম' শেষ করেছেন। ডিএমকের এই সাংসদ, থামিজাচি থাঙ্গাপান্ডিয়ান নামেও পরিচিত। তাঁর কবিতাটি তামিল থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন নিজেই।
Advertisment
অনুবাদের প্রতিলিপি তিনি পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। সেই সময়, যখন সংসদ ভবন মণিপুরে ওই দুই নারীর ওপর নির্যাতন নিয়ে উত্তাল। এই উত্তাল হওয়ার কারণ, মণিপুরে দুই কুকি-জোমি মহিলার ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সারা দেশে তা ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তুলেছে শোকের ঢেউ।
ডিএমকের যে সাংসদ এই কবিতাটি লিখেছেন তিনি একজন মহিলা। বয়স ৬১ বছর। নাম ড. সুমাথি। চেন্নাই দক্ষিণ থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়েছেন। ২০১৯ সালে রাজনীতিতে পা রাখার আগে তিনি কুইন মেরিস কলেজের একজন ইংরেজি অধ্যাপক পদে কাজ করতেন। তিনি একজন তামিল সাহিত্য বিশেষজ্ঞ। তাঁর সাহিত্যের প্রতি আগ্রহের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিবার ড. সুমাথিকে তামিল রাজনীতিতে একটি বিশেষ স্থান পেতে সাহায্য করেছে।
তার বাবা প্রয়াত ডিএমকে বিধায়ক ভি থাঙ্গাপান্ডিয়ান। আর, তাঁর ভাই তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী থাঙ্গাম থেন্নারাসু। সুমাথি ডিএমকের অভ্যন্তরে রাজনীতিবিদের চেয়েও একজন সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি রাজনীতিতে একটি 'শিক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গি' নিয়ে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের বোন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও ডিএমকের রাজনীতিতে ড. সুমাথি পরিচিত।
তাঁর লেখাগুলি তাঁর জন্মস্থান বিরুধুনগর, বৃষ্টি-ছায়া অঞ্চল দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। তাঁর কবিতাগুলো ঐতিহ্যবাহী সাহিত্যের নিয়মকে অস্বীকার করে। অর্থাৎ, যে সাহিত্য সবুজ জমিকে রোমান্টিক দৃষ্টিতে দেখে, সুমাথি সেই চোখে সাহিত্যকে খোঁজেন না। পরিবর্তে স্থানীয় মানুষের কঠিন জীবনের ওপর তাঁর বেশি নজর। যা তাঁর সাহিত্যের কাজকে স্বদেশিয়ানায় মোড়ক দেয়। একটি খাঁটি জীবনের গল্প বলে।