বুধবার কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), ডিএমকে এবং আপ-সহ ১৯টি বিরোধী দল একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে। ২৮মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দলগুলো। সেই জন্যই বিবৃতিটি জারি করা হয়েছে।
বিরোধীরা একজোট
'সমমনা' বিরোধী দলগুলি বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নতুন সংসদের উদ্বোধন করতে দেওয়া উচিত নয়। এই নতুন সংসদ ভবন কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই ভবন উদ্বোধন করা উচিত। কিন্তু, তাঁকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, ভারতীয় গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আক্রমণ। ২০১৪ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। তার পর থেকে, বেশ কয়েকবার বিরোধী দলগুলো মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বা নীতির বিরোধিতা করেছে। কিন্তু, তাই বলে কোনও ইস্যুতে ১৯টি বিরোধী দল যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করছে, তেমন উদাহরণ তেমন একটা নেই। তবে, একেবারে যে নেই, তা নয়। এমন কয়েকটি উদাহরণও আছে। যেমন,
২০১৫ সালের মার্চে ভূমি অধিগ্রহণ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে, তাঁর সরকার জমি অধিগ্রহণ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের যৌথ প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছিল। এই আইন শিল্পায়নের উদ্দেশ্যে কৃষিজমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্পষ্টতই সরল করার জন্য অধ্যাদেশ হিসেবে আনা হয়েছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৪টি বিরোধী দলের নেতারা ২০১৫ সালের মার্চে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের প্রতিবাদে মিছিল করেছিল। সরকার শেষ পর্যন্ত আইনটি প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন- মহেঞ্জদারোর নৃত্যরতা বালিকা, হঠাৎ এনিয়ে বিতর্ক কীসের?
২০২০ সালের ডিসেম্বরে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অনেক বিরোধী দলনেতাই বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বক্তৃতা দিয়েছেন। যদিও তাঁদের মধ্যে 'ঐক্য' বলতে আর তেমন একটা কিছু রূপ পায়নি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একটি বহুধর্মীয় প্রার্থনা এবং একটি যজ্ঞানুষ্ঠানের তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। কংগ্রেস, টিএমসি এবং ডিএমকে-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছিল। তবে, সেই সময় ওই দলগুলো কোনও যৌথ বিবৃতি দেয়নি। এছাড়াও আরও কয়েকবার বিরোধীদের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তবে, এবার যেন বিরোধীরা অন্যবারের চেয়ে বেশি এককাট্টা। যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এটা কি তবে ২০২৪-এর প্রস্তুতি?