ল্যান্ড ফর জব স্ক্যামের' মামলায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেন, "এই মামলার কোন ভিত্তি নেই"। যদিও এই মামলায় তিনি একজন অভিযুক্ত। তেজস্বী যোগ করেছেন যে 'যখনই বিজেপি হেরে যায় তখনই, বিরোধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের খেলা শুরু হয়'।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ৩রা জুলাই এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী এবং তার বাবা-মা, আরজেডি প্রধান এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর নাম রয়েছে ১৭ অভিযুক্তের মধ্যে। তিনি এদিন আরও বলেন, 'আমরা বিজেপিকে বিহার থেকে তাড়িয়েছি। আমি গত বছর অগাস্টেই বলেছি এবার বিজেপি এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগাবে। ঠিক সেটাই ঘটল। ২০১৭৪ সালে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর কেটে গেছে ছয় বছর। এতদিন সংস্থাগুলো কোথায় ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন তেজস্বী যাদব।
বিদেশ সফর শেষে রবিবার পাটনায় ফিরেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদও তেজস্বীর সঙ্গে ছিলেন। 'ল্যান্ড ফর জব মামলায়' তার বিরুদ্ধে চার্জশিট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তেজস্বী বলেছিলেন, "বিজেপি যে খেলা খেলেছে তাতে বিরোধী ঐক্যে কোন প্রভাব পড়বে না।" এই মামলার কোন ভিত্তি নেই। শুধু ইমেজ নষ্ট করার জন্যই এসব হচ্ছে"। তিনি আরও বলেন, 'গোটা দেশের মানুষ জানে যে যখনই আমরা বিজেপিকে বিহার থেকে তাড়িয়েছি তখনই বিহারে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান ও চার্জশিটের পালা শুরু হয়েছে। এজেন্সিগুলিকে অপব্যবহার করছে বিজেপি'।
এপ্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকে টেনে এনে তেজস্বী বলেন, "বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু নেতা ছিলেন তখন তারা ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। একই ব্যক্তি যখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তখন তিনি আর দুর্নীতিবাজ নন। রাজা হলেন হরিশ্চন্দ্র"। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির লোকেরা যত আক্রমণ করবে, বিহারের মানুষ ততই তাদের জবাব দেবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে মহাজোট শক্তিশালীভাবে চলছে। দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র বাঁচাতে এই মহাজোট গঠন করা হয়েছে। বিরোধীদের ঐক্য প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির নেতা কর্মীরা এই মহাজোটে আতঙ্কিত।