ভাঙড় কাণ্ডে নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তীর পর এবার ২৩ টি মামলায় জামিন পেলেন জমি কমিটির অন্যতম নেতা শেখ আজিম। এর ফলে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের আর কেউ জেলবন্দি রইলো না।
এদিকে পাওয়ার গ্রিডের পক্ষে সওয়াল করে এখনো জেল বন্দি ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে আরাবুল অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ভাঙড় আন্দোলনের প্রধান মুখ অলীক চক্রবর্তীর পাশাপাশি ইউএপিএ সহ আরো ২৩ টি মামলাতে অভিযুক্ত ছিলেন জমি কমিটির নেতা শেখ আজিম। গত ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন উত্তর গাজীপুর প্রাইমারি স্কুলের বুথে জমি কমিটির নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে বসেছিলেন তিনি। সেখানে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আজিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক আজিমের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একে একে ইউএপিএ,খুন, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক মজুত, বেআইনি জমায়েত, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক মামলা যোগ করে। জমি কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শেখ আজিমের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ২৩ টি মামলা দায়ের করা হয় । পুলিশ হেফাজত এবং জেল হেফাজতে থাকার সময় ১৮ টি মামলায় জামিন পেয়ে যান। এর পর শুক্রবার বাকি ৫ টি মামলার শুনানি হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে। এদিন বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। জানা গিয়েছে সরকারি আইনজীবী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি ।
আরও পড়ুন, বিজেপি জুজু দেখিয়ে আরাবুলের জামিনের খোঁজ? ফেসবুক পোস্টে কিসের ইঙ্গিত?
একদিকে অলীক সহ জমি কমিটির অন্যান্য নেতৃত্বরা গ্রেফতার এর পরেও জামিন পেয়ে গেলেও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম জামিন না পাওয়া ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আরাবুল অনুগামীরা। আরাবুল অনুগামী ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতা আক্ষেপের সুরে বলেন, "বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে পাওয়া গ্রিডের জন্য লড়াই করে আরাবুল ইসলাম আজ জেলে পচছেন। অন্য দিকে নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তী পাওয়া গ্রিডের বিরোধিতা করে, পুলিশকে মারধর করে জেলে থেকে সরকারি টাকায় চিকিৎসা করে জামিন পেয়ে গিয়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।"