ছ'দিনের ব্যবধানে দুটি অডিও ক্লিপ ফাঁস। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়ের টেলিফোনের কথোপকথন কি ভাবে ভাইরাল হলো, তা নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। কথোপকথনে শোনা যাচ্ছে, 'ম্যাথু' (সম্ভবত নারদা স্টিং অপারেশনের নায়ক ম্যাথু স্যামুয়েল) একটি ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন, যার ফুটেজ দেখালে "তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে"। এই ফুটেজ পেতে হলে হংকংএ বসবাসকারী ম্যাথুকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে, যার মধ্যে ৫০ লক্ষ হবে অগ্রিম।
যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি, এই অডিওতে তাঁর কন্ঠস্বর নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেন নি মুকুলবাবু। বরং তাঁর ফোন পুলিশ ট্যাপ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। মুকুলবাবু বলেন, “আমার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিশ এই কাজ করছে। তাছাড়া কে করবে? মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা করব।"
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ দলের একাংশের, ক্ষুব্ধ মমতা
রাজ্য বিজেপিও ফোন ট্যাপিং নিয়ে পুলিশের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "একমাত্র পুলিশের পক্ষে ফোনের কথা ফাঁস করা সহজ। মুকুলবাবুও তাই বলছেন। ফোনের কথা রেকর্ড করছে। এবং বাইরে প্রকাশ করছে। তা নাহলে দুজনের মধ্যে কথা হচ্ছে, তা কীভাবে বাইরে বেরোয়? এই স্তরের কথাবার্তাও ট্যাপ হচ্ছে!" ভবিষ্যতে এই ধরনের ট্যাপিং আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এর আগে ২ অক্টোবর আর একটি অডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেটিতে মুকুলবাবু ও বিজয়বর্গীয়র কথায় উঠে এসেছিল মতুয়া সম্প্রদায়ের বিষয়, এবং সারদা কাণ্ডে তলব হওয়া চারজন আইপিএস অফিসারের প্রসঙ্গ। এছাড়া ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে জনৈক এক ব্যক্তির নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই অডিওটির সত্যতাও যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
তবে পর পর দুটি ফোনের কথোপকথন বাইরে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি তথা মুকুল রায়ের অভিযোগ, ফোন ট্যাপিং করছে পুলিশই, যদিও এই বিষয়ে পুলিশের কোনও আধিকারিক প্রতিক্রিয়া দেন নি। এর আগেও তাঁর ফোন ট্যাপ হচ্ছে বলে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন। ফোন ট্যাপিং নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে সংশয়। এর পর কার পালা?