আসন্ন রাজ্য বাজেট পেশকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বাজেট বক্তৃতা ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে শুক্রবার অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের শুরু হওয়ার কথা। বুধবার সেই প্রেক্ষিতেই জগদীপ ধনকর জানান যে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই বাজেট বক্তৃতায় রদবদল ঘটাতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর বাজেটের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। সেই মতো তাঁর বক্তব্যে কিছু বিষয় সংযোজনও করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতারা দলের সম্পদ নয়, কর্মীরাই সব: মমতা
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন যে তাঁর এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয় এবং উভয়পক্ষেরই অন্যের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার তরফে রাজ্যপালকে তাঁর বাজেট বক্তৃতার কপি পাঠানো হয়েছে। সেই কপি প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল বলেন, "আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা দেওয়ার কথা। রাজ্য মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর সেই বক্তৃতার একটি খসড়া আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে তা আমার বিবেচনাধীন। যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবেই সেখানে কিছু সংযোজন অথবা বিয়োজন করতে পারি।" এদিকে সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার যে খসড়া পাঠিয়েছে রাজ্যপালকে তা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন জগদীপ ধনকড়।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের অনুরোধে রাজভবনে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ পার্থর
তবে 'সংঘাত আবহ' অবশ্য প্রকাশ পায়নি রাজ্যপালের গলায়। বরং কিছুটা সংবিধান রক্ষাকর্তার সুরে বলেন, "আমাদের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও তা কখনই আমরা দ্বন্দ্বের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি না। আমাদের চিন্তাভাবনায় সমন্বয়সাধন করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই হওয়া উচিত, তা হল রাজ্যের জনগণ এবং উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় সংবিধানকে রক্ষা করে চলা।"
প্রসঙ্গত গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী এবং শীর্ষ আমলারা রাজ্যভবনে অর্থ বিল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করে। এমনকী রাজ্য শিক্ষা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দু'বার গভর্নরের সঙ্গে দেখাও করেন। রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রও একবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বাজেট অধিবেশন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন