চন্দননগর পুরনিগম নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় নেই বামেরা। চন্দননগর পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টিতে লড়ছেন সিপিএম প্রার্থীরা। বাকি ৩টিতে লড়ছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীরা। চন্দননগরে কংগ্রেসের শক্তিই নেই, তাই তাঁদের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। সেই কারণেই কোনও আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হয়নি বলে সাফ জানিয়েছেন সিপিএমের হুগুলি জেলা কমিটির সদস্য পিনাকী চক্রবর্তী।
চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে বাম ও তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রথমে বামেরা তাদের তালিকা প্রকাশ করে। গতকাল রাতেই কালীঘাট থেকে চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ২০১৫-এর পুর নির্বাচনে চন্দননগরের ৩৩ আসনের মধ্যে ২৩টিতে জিতেছিল তৃণমূল। মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী। অন্যদিকে বাকি ১০টির মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডে সংযুক্ত নাগরিক কমিটি ও ১টিতে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন।
দ্বিতীয়বার তৃণমূল কর্পোরেশন দখল করলেও কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্বে তিন বছরের মধ্যে বোর্ড ভেঙে দেয় সরকার। পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডুকে অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর হিসেবে সেখানে নিয়োগ করা হয়। এতদিন অ্যামিনিষ্ট্রেটরই পুরবোর্ড চালাচ্ছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর বাদ পড়েছেন। বাকিরা প্রার্থী হয়েছেন। চন্দননগরের প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ''দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার ওপরে আছেন। তাঁর সব উন্নয়নমূলক কাজের ফল চন্দননগরবাসী পেয়েছে। কলকাতার মতো এখানেও আমরা বিপুল ভোটে জিতব।''
আরও পড়ুন- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেকে কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বামেরা। সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য তথা বাম নেতা পিনাকী চক্রবর্তী জানান, এবারও বামেরা সংযুক্ত নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই নির্বাচনে লড়বে। তিনি বলেন, ''স্বাধীনতার পর থেকে এই কর্পোরেশনে বামেরা প্রগতিশীল গণচেতনা সম্পন্নদের নিয়ে গঠিত ফোরাম সংযুক্ত নাগরিক কমিটির ব্যানারে লড়াই করে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ড (২৫, ২৬, ৩১) ফরওয়ার্ড ব্লককে ছেড়ে ৩০টি তে প্রার্থী সিপিএমের।''
কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে? চন্দননগরের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যেতে নারাজ বামেরা। কারণ প্রসঙ্গে বাম নেতা পিনাকী চক্রবর্তী বললেন, ''চন্দননগরে কংগ্রেসের কোনও শক্তিই নেই। তাই এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না।''