কলকাতা পুরভোটের ইশতেহার প্রকাশ বামেদের। নির্বাচনী ইশতেহারে শহরের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। শ্রমজীবীদের জন্য রাতের আস্তানা, ক্যান্টিন চালু থেকে শুরু করে দূষণ কমাতে শহরে সিএনজি বাস চালু, কলকাতায় Abuse Resistance Team-এর কিয়স্ক, বামেদের ইশতেহারে নজরকাড়া একাধিক প্রতিশ্রুতি।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। তার আগে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ বামেদের। পুরভোটে জিতে এলে শহর কলকাতাকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি বামেদের। ফি দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শহর কলকাতায় কাজের খোঁজে আসেন বহু মানুষ। নানা সমস্যায় পড়লে অনেককেই রাতে কলকাতাতেই থেকে যেতে হয়।
ভোটে জিতে এলে শহর কলকাতার প্রতিটি বরোতে অন্তত একটি করে শ্রমজীবীদের রাতের আস্তানার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি বামেদের। এরই পাশাপাশি শ্রমজীবী মহিলাদের সন্তানদের জন্য ক্রেশেরও ব্যবস্থার আশ্বাস। শুধু তাই নয়, কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ও শ্রমজীবী বাজার চালুরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে।
আরও পড়ুন- এবার ‘nonplaying’ ভূমিকায় অশোক! শিলিগুড়ির ভোটে প্রার্থী হতে নারাজ প্রাক্তন মেয়র
এছাড়াও শহর কলকাতায় কাজের সুযোগ আরও বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করতে চায় বামেরা। নতুন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার আশ্বাস ইশতেহারে। এক্ষেত্রে ছোট পরিবেশ বান্ধব শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক অশান্তি বা যে কোনও গন্ডগোলের মুখোমুখি হলে পুলিশের পাশাপাশি নাগরিকদের সহায়তায় Abuse Resistance Team তৈরির প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে। শহরে কমপক্ষে ১০০টি জায়গায় থাকবে Abuse Resistance Team-এর কিয়স্ক রাখার আশ্বাস।
শহর কলকাতার একটি বড় সমস্যা হল বায়ু দূষণ। কলকাতা পুরনিগমে ক্ষমতায় এলে শহর জুড়ে সি এন জি / ইলেকট্রিক বাস চালুর জন্য যাবতীয় উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বামেরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গ্রিন জোন তৈরির আশ্বাস ইশতেহারে। এছাড়াও পুকুর ভরাট, গাছ কাটা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওযার কথাও বলা হয়েছে।
১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের পরিবারগুলিকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বামেরা। তাঁদের বিপিল তালিকাভুক্ত করারও আশ্বাস। এরই পাশাপাশি রিক্সা-ভ্যানচালক, হকারদের বিনামূল্যে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থার আশ্বাস বাম ইশতেহারে। কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে থাকা বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ২০% ফ্রি বেড রাখার বন্দোবস্তের আশ্বাস বামেদের ইশতেহারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন