বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী। বঙ্গ রাজনীতির সব আলো যখন কেড়ে নিচ্ছে ঘাসফুল ও পদ্মফুলের দ্বৈরথ, ঠিক তখনই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিল প্রায় সাড়ে তিন দশক রাজ্য শাসন করা লাল পতাকা। বামফ্রন্টের তরফে জানানো হল, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করবে তারাও। মঙ্গলবার বামদলগুলির নেতাদের এক বৈঠকে এমনটাই স্থির হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেই সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ওই ময়দানে সভা করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
রাজনৈতিক স্তরে তৃণমূল-বিজেপিকে এক ছটাক জমিও ছাড়া হবে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা জানান, "তৃণমূল ও বিজেপি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছে। ইতিমধ্যে তারা বেশ কয়েকটি সভাও করে ফেলেছে। আমরাও এবার মিছিল মিটিং শুরু করব। এই মুহূর্তে বাম দলগুলির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও গতি আনা গতি আনা জরুরি। আর বিজেপি-তৃণমূলকে সামান্য জায়গাও ছাড়া হবে না। আমাদের স্লোগান একটাই- বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও এবং তৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও।"
আরও পড়ুন- "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘অ্যানাকোন্ডা"!
বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক ফরোয়ার্ডব্লকের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হওয়ার অনেক আগেই আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ব্রিগেডে সভা করা হবে। সব বাম দলকে এই সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হবে"।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে তিনটি রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। আর এরপরই আগামী বছরের জানুয়ারিতে ব্রিগেডে সবা করবে তারা। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, চলতি বছরের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই আগামী বছরের শুরুতে ব্রিগেডে সভা করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ জানুয়ারির ওই সভায় বিজেপি বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
Read the full story in English