পঞ্চায়েত ভোট হয়নি বীরভূমের বহু এলাকায়। এটা আমরা বলছি না, বলছেন শাসকদলের বামপন্থী বিরোধীরা। বস্তুত, বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় নি তাঁদের।
একদা বাম দূর্গ বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন রুপোর পাঁচন নিয়ে ঘুরছেন, বলছেন পাঁচনের বাড়ি খেলে মনে থাকবে। এর মধ্যে চারদিকে প্রচার রটেছে, ৫০০ জন বাম কর্মী নাকি রবিবার পাথরচাপড়িতে তৃনমূলের সভায় যোগ দিয়ে দল ছেড়েছেন। সিপিআই (এম)-এর জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা শুনে কিছুটা চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিতেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, "ঐ এলাকায় ৫০০ জন তো দূরের কথা, পাঁচজন কর্মীও দল ছাড়েন নি, এবং তুলনামূলক ভাবে আমরা ঐ এলাকায় দুর্বল হলেও এসব পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো ছাড়া কিছু নয়।"
দলের বেশ কয়েকজন কর্মী জেলে, কিছু কর্মী রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া, এ অবস্থায় বিজেপি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় শঙ্কিত বাম নেতারা বলছেন, তৃণমূলের একাংশ "এখনও বিজেপিকে গোপনে মদত দিয়ে চলেছে"। হনুমান পুজোর রমরমা বা রাম নাম নিয়ে কীর্তন কিসের ইঙ্গিত, এই প্রশ্ন তুলে বাম নেতারা হারানো জমি উদ্ধারে রীতিমত মাঠে নেমে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: দরজায় লোকসভা, বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে মমতা
১৪ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এসে তারাপীঠ বা রামপুরহাট থেকে রথযাত্রা করবেন এমন প্রস্তুতি চলছে বিজেপির অন্দরে, তার আগে সোমবার তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট ১২ কিলোমিটার সম্প্রীতি পদযাত্রা করবে বামফ্রন্ট। সেই ১২ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সঙ্গে সুজন চক্রবর্তী ও দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা। তবে কতটা সফল হবে সেই কর্মসূচী, তা নিয়ে সংশয় জন্মেছে বাম নেতাদের মধ্যেই।
সংশয়ের প্রধান কারণ, রবিবার অর্থাৎ গতকাল থেকেই তাঁরা খবর পাচ্ছেন, বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রায় যাওয়ার জন্য বাস বুকিং করেও বাতিল করতে হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা কর্মীরা পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন, বাম পদযাত্রায় বাসভাড়া দিলে ফিরে এসে "কেস নিতে হবে", ফলে বহু এলাকায় যে সব কর্মীরা পদযাত্রায় আসার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের শুরুতেই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।
তবে সব সংশয় সত্ত্বেও এর মধ্যে লাল পতাকায় সেজে উঠেছে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত রাস্তা। এখন আজ কী হয় সেটাই দেখার।