Kanhaiya Kumar: বছর ঘুরলেই দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। যে তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরের নাম। বছর যত এগোবে, ততই এই তালিকায় একটার পর একটা নাম জুড়বে। সেই ভোট প্রস্তুতির আগেই জাতীয় রাজনীতিতে বড়সড় সাফল্য দেখতে পারে কংগ্রেস। সুত্রের খবর, দেশের অন্যতম দুই তরুণ মুখ এবং বাগ্মী কানহাইয়া কুমার এবং জিগ্নেশ মেবানি রাহুল গান্ধির হাত ধরতে পারেন। তবে, এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনার কেন্দ্রে বামপন্থী হিসেবে পরিচিত কানহাইয়া কুমারকে নিয়ে।
সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই সিপিআই নেতা। কংগ্রেসে যোগদানের পথ প্রসস্থ করতেই এই বৈঠক বলে সুত্রের খবর। কানহাইয়া ঘনিষ্ঠ সুত্রে খবর, সিপিআই দলে কোণঠাসা এই যুবনেতা। তাই সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে কংগ্রেসে যোগদান করতে চান তিনি। এই বিষয়েই দুই নেতার কথা হয়েছে। যদিও কানহাইয়ার অবস্থান নিয়ে সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, ‘আমি শুধুই গুঞ্জন শুনেছি। দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সক্রিয় ভাবে উপস্থিত ছিলেন কানহাইয়া কুমার।‘
এদিকে, কংগ্রেস সুত্রে খবর বিহার রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী কানহাইয়া কুমার। গত কয়েক দশক সেই রাজ্যে সেভাব প্রভাব বাড়াতে পারেনি কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং সিপিআইএম (এল)-এর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়লেও মাত্র ১৯টি আসনে জিতেছে রাহুলের দল। তাই কংগ্রেস মনে করছে কানহাইয়ার দলে অন্তর্ভুক্তি সেই রাজ্যে কিছুটা হলেও সংগঠনকে চাঙ্গা করবে। একইভাবে গুজরাতের বিজেপি-বিরোধী তরুণ মুখ জিগ্নেশ মেবানিও কংগ্রেসে যোগ দিতে কথাবার্তা চালাচ্ছেন। গত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রারথী জিগ্নেশকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। তাই এবার হাত ধরতে আরও বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন মেবানি।
অপরদিকে, সাম্প্রতিককালে একাধিক কংগ্রেস নেতা দলত্যাগ করেছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুস্মিতা দেব, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং জিতিন প্রসাদের। এই তারুণ্যের ফাঁকা জায়গায় কানহাইয়া এবং জিগ্নেশ কংগ্রেসে যোগ দিলে অনেকটা লাভবান হবে কংগ্রেস। এমনটাই সুত্রের দাবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন