বাংলা ছবি কিংবা সিরিয়াল জগত এখন যেন তৃণমূল বনাম কংগ্রেস। প্রতিদিন চেনা মুখগুলো ‘মানুষের জন্য কাজ করতে’ হয় ঘাসফুল নয়তো পদ্মফুলের পতাকা হাতে তুলছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যাতিক্রম আছে। যেমন সব্যসাচী চক্রবর্তী, তরুণ মজুমদার, শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় আর দেবজ্যোতি মিশ্র। এই মুখগুলোকে রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা গিয়েছে। সমাবেশের একটা বড় সময় সঞ্চালক হিসেবে দেখা গিয়েছে বাদশা মৈত্রকে।
Advertisment
সমাবেশের গোড়াতেই ‘গরম ভাত’ বলে একটি গান গেয়েছেন টলি-তারকারা। ‘সারা পৃথিবী জুড়ে সকলের ঘরে ঘরে গরম ভাতের গন্ধ থাক’— গলা মিলিয়েছেন দেবজ্যোতি, সব্যসাচী, কমলেশ্বরেরা। টলিউডের বাম ঘেঁষা এই অংশের দাবি, ‘একুশের ভোটের আগে ভিড় বাড়ছে বামেদের দিকে।‘ দীর্ঘ দিন ধরেই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, ‘প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। এই অংশগ্রহণটাই আসল। খুব ইতিবাচক একটা অনুভূতি হয়েছে সমাবেশ থেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যে ভাবে এই সমাবেশে হাজির হয়েছে, সেটা খুবই আশাব্যঞ্জক।’
এদিন তো শ্রীলেখা মিত্র আবার ব্রিগেড সাজের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন। সেই অভিনেত্রীর দাবি, ‘একেবারে মঞ্চের নীচে বসেছিলাম। মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। কত অল্প বয়সি ছেলেমেয়ে এসেছিল! কী ভিড়!’ অভিনেতা চন্দন সেনের কথায়, ‘৭৭-এ বাবার সঙ্গে ব্রিগেডে গিয়েছিলাম। সেই ভিড়টাই মনে পড়ে গেল এ বার।’
কমলেশ্বরের কথায়, ‘‘রবিবারের ব্রিগেড প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।’’ প্রচুর মানুষ এ দিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। ভোট নিয়ে তা হলে কতটা আশাবাদী তাঁরা? কমলেশ্বর এবং শ্রীলেখা ভোটের ভাল ফল নিয়েও আশাবাদী। এই ভিড় যাতে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়, সেতাই চাইছেন এঁরা। কমলেশ্বরের বক্তব্য, ‘ব্রিগেডের এই আবেগ যদি বুথ পর্যন্ত ছড়ায়, ভোট লুঠ না হয়— রাজ্যে শীঘ্রই বদল আসছে মনে হয়।’ এদিকে, অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী ব্রিগেড জমায়েতে ভিড় দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়েন। ফেসবুকে পোস্ট করেন বাবার সঙ্গে থাকা ব্রিগেড স্মৃতি।