প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহের অভিযোগে নয়ডার বাসিন্দা শ্রীকান্ত ত্যাগীর সম্পত্তিতে বুলডোজার চালিয়েছে যোগী প্রশাসন। তাঁর সম্পতির বেআইনি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তিনি, এমনটা ত্যাগী ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি। কিন্তু বিজেপি শ্রীকান্ত ত্যাগীর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। যদিও বিভিন্ন শীর্ষ নেতার সঙ্গে ত্যাগীর একান্ত ছবি অন্য কথা বলছে।
শুক্রবারই ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নয়ডা পুলিশ। এক মহিলাকের নিগ্রহ করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। নয়ডার গ্র্যান্ড ওমাক্স আবাসনের বাসিন্দার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ত্যাগী। বিজেপি স্বীকার না করলেও ২০১৮ সালের একটি চিঠি বলছে, বিজেপিতেই রয়েছেন ত্যাগী। ওই বছর ২৭ অগস্টের চিঠিতে লেখা রয়েছে, বিজেপির কিষাণ মোর্চার যুবা কিষাণ সমিতির জাতীয় আহ্বায়ক (সহ-সংযোজক)।
বিজেপিরই এক নেতা এবং ত্যাগীর সহকর্মী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন ত্যাগী। এই শাখা তৈরি করা হয়েছিল যাতে আরও বেশি করে যুব সমাজ কিষাণ মোর্চায় শামিল হয়। সেই সময় বহু নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছিল। ত্যাগীর পাশাপাশি আরও ২০ জনকে পদাধিকারী করা হয়। মিডিয়া উপদেষ্টা, সোশ্যাল মিডিয়া উপদেষ্টা এবং সচিব পদে নিয়োগ হয়।
এর পর গত বছর নয়া কমিটি তৈরি হয়। তাতে অবশ্য ত্যাগীর জায়গা হয়নি। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির আরেক সূত্র মোতাবেক, মোদীনগর থেকে বিধানসভায় টিকিট চেয়েছিলেন ত্যাগী। কিন্তু পাননি। শুধু তাই নয়, এক বছর আগেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিরাপত্তা পেতেন ত্যাগী।
আরও পড়ুন নারী নিগ্রহের অভিযোগ! বিজেপি নেতার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল যোগী প্রশাসন
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার মুনিরাজ জি জানিয়েছেন, জেলা কমিটির রিপোর্টে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের কারণে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় ত্যাগীকে। কারণ তিনি নাকি প্রশাসনের লোক। এর পর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। সরকারের নির্দেশেই তা হয়।
২০১৯ সালে ইনস্টাগ্রামে ত্যাগী কিছু ছবি পোস্ট করেন। তাতে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের সঙ্গে ছবি রয়েছে ত্যাগীর। বিজয় সংকল্প সভাতে বক্তব্য রাখছেন ত্যাগী এমন ছবিও রয়েছে।
গৌতমবুদ্ধ নগরের বিজেপি সাংসদ ডা. মহেশ শর্মা সাফ জানিয়েছেন, "এই লোকটির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের দলের নেতার সঙ্গে ছবি থাকলেও ইনি বিজেপির কেউ নন। আমি ৪৯ বছর রে নয়ডায় থাকি। ত্যাগীর কাজকর্ম দল কখনও সমর্থন করে না। বিজেপি নারী নিগ্রহ কখনও বরদাস্ত করবে না। নাড্ডাজিও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।"