মায়া মমতার পথ অনুসরণ করলেন কেজরিওয়াল ও উদ্ধব ঠাকরে। সিএএ-এর প্রতিবাদে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা এদিনের বিরোধী বৈঠকে মায়াবতী হাজির থাকবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। বেলা গড়াতেই জানা যাচ্ছে শিবসেনা, আপ প্রধানরাও ওই বৈঠকে থাকবেন না।
তাঁর অনুপস্থিতির কথা টুইটে জানিয়েছেন 'বহেনজি'। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ তুলে এদিনের বৈঠক বয়কট করছেন মায়াবতী। তবে জানিয়েছেন, বিএসপি সিএএ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট মমতার, দেখালেন ‘বিশেষ কারণ’
টুইটে মায়াবতী লিখেছেন, 'দলীয় কর্মীরা কংগ্রেসের ওপর ক্ষুব্ধ। রাজস্থানে দলের বিধায়করা সরকার গড়তে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। তবে সেখানে ঘোড়া কেনা-বেচা হয়েছে। বিএসপি বিধায়করা হাত শিবিরের যোগ দিয়েছেন। যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।' এছাড়াও তিনি জানান, 'অসাংবিধানিক নয়া আইন বাতিল করুক কেন্দ্র।' জেএনইউ ও অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলনকে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এদিন তারও বিরোধিতা করেন বিএসপি সুপ্রিমো।
1. जैसाकि विदित है कि राजस्थान कांग्रेसी सरकार को बीएसपी का बाहर से समर्थन दिये जाने पर भी, इन्होंने दूसरी बार वहाँ बीएसपी के विधायकों को तोड़कर उन्हें अपनी पार्टी में शामिल करा लिया है जो यह पूर्णतयाः विश्वासघाती है। 1/3
— Mayawati (@Mayawati) January 13, 2020
গত সপ্তাহে কংগ্রেস সভানেত্রীর ডাকা বৈঠক বয়কটের কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় তিনি জানিয়েছিলেন, 'নয়া দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে বনধ ঘিরে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে বাম-কংগ্রেস, তা সমর্থন করি না। সে কারণেই বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
শিবসেনার তরফে সাংসদ বিনায়ক নায়েক বলেন,'এখনও বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ পায়নি। তা পেলে দলীয় নেতৃত্বের বিবেচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।' একই বক্তব্য জানান আপ নেতা সঞ্জয় সিং।
সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সংসদের এ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সোনিয়া গান্ধী আমন্ত্রণ জানিয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনকেদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাম দলগুলিকেও। সূত্রের খবর, মায়া-মমতা হাজির না হলেও বাকি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা ওই বৈঠকে যোগ দবেন।
আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে ‘বিভ্রান্ত হবেন না’ আহ্বান সোনিয়ার, আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির
শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানেই একযোগে সিএএ বিরোধিতার রূপরেখা নির্ধারণ করেন দলের সভানেত্রী। তিনি বলেন, 'সিএএ বৈষম্যমূলক ও বিভাজনের আইন। প্রতিটি দেশপ্রেমিক, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়র কাছে এটি স্পষ্ট, ভারতীয়দের ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার ভয়ংকর উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে।' তিনি এই নয়া আইন বাতিলেরও দাবি তুলেছেন। সিএএ প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম শিবির সহ বিরোধীরা যেমন এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে, তেমনই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে পথে নেমেছে।
মায়াবতী, অখিলেশ যাদবরা হাজির না হলেও ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যের খণ্ড ছবি ধরা পড়েছিল। সোমবার বৈঠক ঘিরেও সেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, জাতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীরা বয়কট করায় এদিনের বৈঠকের গুরুত্ব ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Read the full story in English