জেডিইউ, অগপ-র পর এনআরসি ঘিরে এনডিএ-এর অভ্যন্তরেই ফের ভিন্ন সুর। লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, খসড় না দেখে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকে সমর্থন করা হবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করেছে রামবিলাস পাসোয়ানের দল। কিন্তু, এই আইনের ফলে ভারতের মুসলমানদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সে বিষয়টিও পর্যালোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেন করা হয়েছে এলজেপির তরফে। আর্জি জানানো হয়েছে প্রশাসনকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। একের পর এক জোটসঙ্গীদের ঘোষণায় বেকায়দায় গেরুয়া শিবির।
লোক জনশক্তি দলের প্রধান চিরাগ পাসোয়ান বলেছেন, 'সম্পূর্ণ খসড়া না পড়ে এনআরসিকে সমর্থন করা যাবে না। আমরা কোন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সবদিক খতিয়ে পর্যালোচনা করতে আবেদন জানিয়েছি।' দেশজুড়ে সিএএ প্রতিরোধ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভে উত্তাল দেশের সব বড় শহর। আসামে ৫ জনের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবারই গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন বিক্ষোভকারী। সংখ্যালঘুরা প্রতিবাদে সোচ্চার। তবে এলজেপি সুপ্রিমোর মতে, 'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে ভারতীয় মুসলমানদের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।'
আরও পড়ুন: এনআরসি-কে সমর্থন নয়, সুর চড়াল এনডিএ শরিক
পরের বছরই বিহারে বিধানসভা ভোট। এই অবস্থায় নিজেদের সংখ্যালঘু বান্ধব বলে তুলে ধরতে মরিয়া লোক জনশক্তি দলের নেতারা। চিরাগ পাসোয়ানের কথায়, 'আমরা ন্যায় বিচারের পক্ষে। ভুল করলে সেদিকে থাকি না। জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত হলে এলজেপি তার বিরোধীতা করবে।'
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধিতায় নীতীশের দল ছাড়ার পথে এই হেভিওয়েট নেতা
এনআরসি ঘিরে এলজেপির ভেতরেই অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। দলের একমাত্র সংখ্যালঘু সাংসদ চৌধুরী মেহবুব আলি কায়সার বলেন, 'দল ক্যাব সমর্থন করলেও এনআরসির বিষয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে পারেনি।' এই অবস্থান 'কৌশলগত' হতে পারে বলে মনে করেন খাগারিয়ার সাংসদ।
বিহারে কী এলজেপি এনআরসি লাগু করবে। এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও জবাব দেননি চিরাগ পাসোয়ান। দলের মুখপাত্র আসরাফ আনসারি বলেছেন, 'নেহেরু লিয়াকত চুক্তি সফল হয়নি বলেই সিএএ-এর প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে নাগরির পঞ্জিকরণ মিশিয়ে ফেললে হবে না। এতে বিভ্রান্তি বাড়বে। এনআরসির খসড়া দেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
Read the full story in English