শেষপর্যন্ত ভেঙেই গেল বিহারের এনডিএ জোট। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসনরফা নিয়ে বিবাদের জেরে চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপিকে ছাড়াই আসন সমঝোতা করে ফেলে শাসকদল জেডিইউ ও বিজেপি। দুই দল ১১৯টি করে আসনে ভোটে লড়বে। এর ফলে বিরক্ত হয়ে ভোটে একলা লড়ার ডাক দিল এলজেপি। জানা গিয়েছে, জেডিইউয়ের বিরুদ্ধে সবকটি আসনে প্রার্থী দেবে পাসওয়ানের দল। কিন্তু বিজেপির আসনগুলিতে প্রার্থী না দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বাইরে থেকে সমর্থন দেবে এলজেপি। দীর্ঘদিনের জোট শরিক এলজেপি বিজেপির পাশেই থাকবে বলে জানিয়েছে নেতৃত্ব।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দলের নেতা আবদুল খালিক জানিয়েছেন, লোক জনশক্তি পার্টি জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে জোট করবে না মতাদর্শগত বিরোধের কারণে। রবিবার এলজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিহার নির্বাচনে একাই লড়বে দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে বিজেপির পাশে থেকেই লড়বে দলীয় বিধায়করা। কিন্তু নীতীশের দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে তারা। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে বিহারে সরকার গড়ার কথা জানিয়েছে এলজেপি। বিহারে ৬ থেকে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়ার শক্তি রাখে বলে দাবি করেছে এলজেপি। যা ভোটের পর নীতীশের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমারের নেতৃত্ব নিয়ে এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান প্রশ্ন তুলেছেন একাধিকবার। এবারের বিহার ভোটে তাঁর নেতৃত্বে লড়তেও অস্বীকার করেছিলেন চিরাগ। কিন্তু, মোদী-শাহ-নাড্ডারা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের মুখ করছেন নীতীশকেই। তাই সময় এগোতেই এই ইস্যুতে সুর নরম হয় তাঁর। তবে, এবারের ভোটে প্রথম থেকেই বেশি আসনে লড়াইয়ের দাবি জানাতে থাকেন চিরাগ পাসওয়ান। দলের নেতা, কর্মীদের উৎসাহেই চলে দর কষাকষি। কিন্তু, তাতেও খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না বুঝে গত সপ্তাহেই দু’বার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জানিয়ে আসেন এনডিএ-তে থেকেই লড়তে চায় এলজেপি। তবে এদিন এনডিএ শিবির তাদের ছাড়াই আসনরফা করে ফেলায় একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলজেপি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন