প্রতিবেশী বিহারে জেডিইউ-এলজেপি প্রবল প্রতিপক্ষ। কিন্তু বাংলা ভোট এই দুই দল একই পথের পথিক। নীতীশের দলের পর এবার বঙ্গ ভোটে লড়ডাইয়ের ঘোষণা করল লোক জনশক্তি পার্টি। তবে বিহারের ভোটের ফলাফল খারাপ হলেও এ রাজ্যে এলজেপিরলক্ষ্য বৃহৎ। সাংগঠনিক শক্তি যাই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন লোকজনশক্তি পার্টির রাজ্য সভানেত্রী মীরা চক্রবর্তী।
এলজেপির রাজ্য সভানেত্রীর কথায় "পশ্চিমবঙ্গে ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্যর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া ও তফশিলি জাতি উপজাতির সংখ্যা প্রায় ৫৩ শতাংশ আর মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ আছেন প্রায় ৩০ শতাংশ। কিন্তু বিধায়ক সংখ্যার বিচারে এই বিপুল সংখ্যক দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার সংখ্যাটা খুবই নগন্য। আমাদের স্বর্গীয় রামবিলাস পাসোয়ানজি চেয়েছিলেন দলিত উত্থান সমগ্র ভারতবর্ষে। পশ্চিমবঙ্গে যা আজ অবধি হয়ে উঠতে পারেনি।"
এছাড়াও মীরাদেবী বলেছেন, "জনশক্তি পার্টি চায় পশ্চিমবঙ্গে দলিত নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যাতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল হয়েছে। তাতে ৫,২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে চাকরি হয়েছে মাত্র ৮০০ জনের। তারমানে ১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে একটা মানুষের চাকরি হয়। কিন্তু আমরা যদি বলি স্মলস্কেল ইন্ডাস্ট্রি বা মিডিয়ামস্কেল ইন্ডাস্ট্রি করা হয় তাহলে এক কোটি টাকার বিনিময়ে ৩ জনের চাকরি হয়। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার এক কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষ বেকার।"
আবাগারি শুল্কের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এলজেপি রাজ্য সভানেত্রীর দাবি, বাংলায় সুরা বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে। দুয়ারে সরকার মমতা সরাকারের ভেক কর্মসূচি বলেও এদিন তোপ দাগেন মীরাদাবী। শাসক দলের তোলাবাজি-দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এদিন সরব হন এলজেপি নেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন