দলের সাংসদ, বিধায়করা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি আগে করেছিলেন। যা নিয়ো রাজ্য রাজনীতিতে শোর গোল পড়েছিল। যদিও সেই সময় রাজ্য বিজেপি সভাপতি অখণ্ড বাংলার পক্ষেই সোচ্চার ছিলেন। তবে, কয়েকমাস গড়াতেই দিলীপ ঘোষের গলায় উল্টো সুর। এবার পৃথক উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে পক্ষেই কথা বলেছেন তিনি। পৃথক রাজ্যের দাবি যে অমূলক নয় তারও ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে মেদিনীপুরের সাংসদের গলায়। অবশ্য এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির উল্টো সুরই শোনা গেল এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত আরেক বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলায় দিলীপকে বিঁধেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও।
ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রাখিবন্ধন উৎসবের প্রচোলন করেছিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ফের বাংলা ভাগের দাবি উঠছে। যাতে সায় রয়েছে গেরুয়া সাংসদদের। এই প্রসঙ্গেই রবিবার হুগলির জেলা বিজেপি কার্যলয়ে রাখিবন্ধন উৎসবের মাঝেই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কে কী বলেঠেন জানি না। বাংলা কখনও ভাগ হবে না। বাংলা এক থাকবে। ঐক্যবদ্ধ বাংলার জন্য আমরা গর্বিত।" অর্থাৎ রাজ্য সভাপতির দাবির উল্টো পথেই হাঁঠলেন হুগলির সাংসদ।
আরও পড়ুন- পৃথক উত্তরবঙ্গ নিয়ে পাল্টি দিলীপের, বিজেপি মোকাবিলায় এক রা তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের
অন্যদিকে দিলীপের রাজ্যভাগের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, ''বাংলা ভাগ হবে না। বিজেপি বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। রাজ্য ভাগ নিয়ে দল বা কেন্দ্রের কোনও কোনও নীতি নেই। জাতীয়স্তরে রবীন্দ্র ঠাকুরের রাখিবন্ধন উৎসবের সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব সবার বোঝা উচিত।"
শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র যেতে হয় উত্তরবঙ্গবাসীকে। কেন হাসপাতাল, ভাল স্কুল নেই সেখানে? জঙ্গলমহলের অবস্থাও এক। শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে মা-বোনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওড়িশা, গুজরাটে যেতে হচ্ছে? দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন