মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। বিল পাশের ব্যাপারে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট বিরোধিতা করেছিল। এই বিলে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যে সব অমুসলিম ভারতীয়রা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিল প্রথমে যৌথ সংসদীয় কমিটি পাশ করেছিল, তারপর তা যায় লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে।
এই বিলের বিরোধিতা করে কংগ্রেস। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেন, যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে সংবিধান জড়িত রয়েছে, তাই এই বিল সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হোক। তিনি বলেন, এই বিলের ব্যাপারে অনেকের আপত্তি রয়েছে। তিনি আরও বলেন যেহেতু এ বিলে আসাম চুক্তির প্রসঙ্গ নেই, ফলে এ নিয়ে আসামে অশান্তি শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন এ ব্যাপারে কর্ণপাত না করায় কংগ্রেস অধিবেশন ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন, ফের শরিকি চাপ! বিজেপি সঙ্গ ছাড়ার ‘হুমকি’ এসবিএসপি ও আপনা দলের
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন নাগরিকত্ব বিল শুধু আসামে নয়, সারা উত্তর পূর্ব ভারতে আগুন জ্বালাবে। এই বিল বিভাজন তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিলটিকে সমর্থন করে রাজনাথ সিং বলেন, এই বিল সারা দেশে প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেন, এই বিল আসামের স্বার্থ রক্ষা করবে। সরকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এই বিল নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিল কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি পক্ষপাতমূলক নয়।
এদিকে এই বিল নিয়ে আসাম জুড়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। ডিব্রুগড়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের বাড়ি ঘেরাও হয়েছে, অবরোধ করা হয়েছে জাতীয় সড়ক এবং আসুর ডাকা বনধে বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলে ছাড়পত্র দেয়। এর পরেই আসামে বিজেপি-র সঙ্গে জোট সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যায় অসম গণ পরিষদ। এর পরেই আসাম সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতে ১১ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়।