প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে গুচ্ছেক অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বিনা প্রমাণে ওই সব মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে নোটিশ দিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। তার প্রেক্ষিতে ওয়েনাদের সাংসদ রাহুলকে সংসদে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে হবে।
এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে লোকসভার সচিবালয়। ১০ ফেব্রুয়ারি রাহুলকে জবাবদিহির চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে রাহুলকে নোটিশ দিয়েছেন সাংসদ প্রহ্লাদ যোশী ও নিশিকান্ত দুবে। রাহুলের বেশ কিছু মন্তব্য অবশ্য লোকসভার স্পিকার বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু, বিজেপি সাংসদরা বিষয়টিকে অত সহজে যেতে দিতে নারাজ।
কারণ, স্পিকার বাদ দিলেও রাহুলের মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই বিজেপি সাংসদরা রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন। লোকসভায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক বক্তৃতা করেছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি হিন্ডেনবার্গ-আদানি ইস্যুতে মন্তব্য করেন। তার প্রেক্ষিতেই রাহুলকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন দুই বিজেপি সাংসদ।
দুই সাংসদই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেছেন যে, রাহুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শুধু তাই নয়, প্রহ্লাদ যোশী ও নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যগুলো 'অপমানজনক, অসংসদীয় এবং অসম্মানজনক'। রাহুল গান্ধী অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যা বলেছেন, সেই সব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগও করছেন না। শুধু এই অভিযোগ করাই নয়। রাহুল গান্ধী সংসদের মধ্যে মোদী ও আদানির একটি পুরোনো ছবিও দেখান। সেই ছবি দেখিয়ে মোদীর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক কী, তা জানতে চান।
আরও পড়ুন- একা নন, নাজিরের মত নজির আরও আছে, কোন বিচারপতিরা হয়েছেন রাজ্যপাল?
ইতিমধ্যেই হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে শেয়ার বাজারে আদানির শেয়ারের দাম বেশ পড়ে গিয়েছে। বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আদানি গ্রুপের। যার জেরে তাদের এফপিও প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকও জানিয়ে দিয়েছে, তারা আদানিদের নতুন করে কোনও অর্থ আর ধার দেবে না।
Read full story in English