নয়া কৃষি আইন বাতিল ও পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তের দাবিতে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই তপ্ত আবহ সংসদে। দাবি আদায়ে মোদী সরকারের তুলোধনা করছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নয়া বিতর্ক সংসদের অভ্যন্তরে। দুই ধাপে ওই দিন মোট ৪৫ মিনিট চলেছে অধিবেশন। তবে লোকসভা টিভির পর্দায় বিরোধীদের বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা সম্প্রচার হয়েছে মাত্র ৭২ সেকেন্ড। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদেঅ-বিজেপি দলগুলির কেন্দ্র-বিরোধিতার ছবি সারা দেশের মানুষ যাতে দেখতে না পারেন তারই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
পেগাসাস-কাণ্ড এবং কৃষি আইন নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদ উত্তপ্ত। সেই বিক্ষোভের আঁচ ছিল গতশুক্রবারেও। ওই দিন বিরোধী সাংসদরা অধিবেশনের শুরুর দিকে কয়েক মিনিট তাঁদের আসনে ছিলেন। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হিরোশিমা-নাগাসাকিতে নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় সংযত ছিলেন বিরোধীরা। এরপরেও টোকিও অলিম্পিকে রুপোর পদক জয়ের জন্য কুস্তিগীর রবি কুমার দাহিয়াকে সম্মান জানানোর সময়েও বিরোধীরা আসনে ছিলেন। গোল বাঁধে তারপরেই। হঠাৎই আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে পড়েন বিরোধীরা। কংগ্রেস, ডিএমকে, বাম ও তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে মে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এরপর দুপুরে অধিবেশন শুরু হলে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময়েও বিরোধী সাংসদরা তাঁদের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন।
আরও পড়ুন- মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হয় থানাতেই: প্রধান বিচারপতি
যদিও লোকসভার অভ্যন্তরে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তার কার্যত সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। লোকসভা টিভি সূত্রে জানানো হয়েছে, অধিবেশন কক্ষে থাকা টিভি স্ক্রিনগুলি সিসিটিভি সিস্টেমেরই একটি অংশ। তবে আলাদা করে অধিবেশন কক্ষে থাকা টিভি ক্যামেরায় যে ছবি ওঠে তার ফিড ভিন্ন। লোকসভা টিভিতে যা সম্প্রচার করা হবে তার দায় র্কতৃপক্ষের। অধিবেশন কক্ষে থাকা সিসিটিভি এবং তার ক্যামেরায় কোন ছবি উঠছে তার দায় লোকসভা টিভি চ্যানেলের নয়। এদিকে, লোকসভা টিভিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ মাত্র কয়েক সেকেন্ড সম্প্রচারে মোদী সরকারকে তুলোধনা করেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
হয়ে পড়েছেন।"
অন্যদিকে, লোকসভা টিভির এডিটর ইন চিফ মনোজ অরোরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, অধিবেশন কক্ষের মধ্যে ঠিক কী ঘটছে, সেটাই দেখানো হয় চ্যানেলের পর্দায়। ওই চ্যানেলেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, অধিবেশন কক্ষের মধ্যে চলা সব বক্তব্যই তুলে ধরার চেষ্টা হয়। তবে যখন অধ্যক্ষ, প্রধানমন্ত্রী বলতে শুরু করেন তখন তাঁদের দিকেই নজর বেশি থাকে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন