নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় এসে মোদী বলেছিলেন তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু, নির্বাচন মিটতেই আরও বড় বোমা ফাটালেন মোদীর দলেরই রাজ্য সভাপতি। সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে তো ১০০ জনের খবর রয়েছে’’। দিলীপ এদিন দাবি করেন, ভোটপর্ব শেষ হতেই তৃণমূলের অনেক বিধায়ক কাল থেকে ফোন করছেন তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘অনেকে ফোন করছেন, কালকেই একজন ফোন করেছেন। শুধু তৃণমূল নয়, অন্যান্য দলের বিধায়করাও যোগাযোগ রাখছেন। ফোনে বলছেন, কেমন আছ, শরীর ঠিক আছে, নিছকই সৌজন্য বিনিময়। কেউ তো আর সরাসরি বলবে না যে দলত্যাগ করছি। মানুষ কোনও একটা উদ্দেশ্য নিয়েই তো ফোন করে। মোদী বলেছেন ৪০ জন বিধায়কের কথা, কিন্তু এখানে তো ১০০ জনের খবর রয়েছে, ধীরে ধীরে সেই খবর দিল্লি যাবে’’।
দল ভাঙানো প্রসঙ্গে দিলীপ এদিন বলেন, ‘‘যে আসতে চায়, আমরা না বলব কেন! পট পরিবর্তন এভাবেই হয়। তৃণমূলও বহু দল ভাঙিয়েছে। পালাবদল তো হতেই থাকে’’। এরপরই দিলীপ আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘‘ভদ্রলোকের এক কথা। বাংলায় আমরা ২৩টির বেশি আসন পাব’’।
আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে ‘যোগাযোগ রাখছেন’ মমতার ৪০ বিধায়ক! কী হবে ভবিষ্যতে?
উল্লেখ্য, রবিবার প্রকাশিত সবক'টি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় ফিরছে। এক্সিট পোলগুলির এমন আভাস সামনে আসতেই গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, গোটাটাই ‘গেমপ্ল্যান’। ইভিএম বদলে দেবে সব, এ অভিযোগও করেছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘হেরে গেলেই ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। হেরে গেলে কিছু একটা অজুহাত তো দিতে হবে। এগুলো হতাশার কথা। হেরে গেলে মানুষ এমন কথা বলেন’’।
অন্যদিকে, সোমবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর বৈঠক প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মমতা-নাইডুদের কোনও কাজ থাকবে না। এমন ফল হবে যে তিনি মূল্যহীন হয়ে যাবেন। তাই নতুন বন্ধু খুঁজছেন। একই দুঃখের দুঃখী মিলিত হবেন (আজ)’’।