বছর গড়ালেই লোকসভা ভোট। উনিশের ভোটযুদ্ধের আগে রাফালে দুর্নীতি, সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধে নাক গলানোর মতো বেশ কয়েকটি ইস্যুতে চাপে শাসক শিবির। এমতাবস্থায় বিহারে এনডিএ দুর্গ কতটা সুরক্ষিত তা এবার প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়াল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আসন বণ্টন নিয়ে বিহারে এনডিএ-র অন্দরে কি হিমস্রোত বইছে? এমন ইঙ্গিতই মিলল এবার।
আরএলএসপি প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহার সঙ্গে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বৈঠক ঘিরে ফিসফাস চলছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে, সে রাজ্যে এনডিএ-র আরেক শরিক রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপিও নাকি ক্ষুব্ধ, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি এখনও টুঁ শব্দটি না করায়। তবে বিহারে এনডিএ-র অন্দরে কোনও সমস্যা নেই বলেই সাফ জানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে আসন বাটোয়ারা নিয়ে এনডিএ-র অন্দরে যে কোনও মতানৈক্য নেই, তাই কার্যত এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন অমিত শাহ। উনিশের ভোটযুদ্ধে জেডিইউ ও বিজেপি সমসংখ্যক আসনেই সে রাজ্যে লড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর শাহ বলেন, লোক জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি "সম্মানজনক আসনেই" প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি আরও বলেন যে, দু-তিন দিনের মধ্যেই আসন সংখ্যা ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: রাফালে-আতঙ্ক থেকেই সিবিআই-এ রদবদলের সিদ্ধান্ত মোদীর: রাহুল গান্ধী
এদিকে, এ বৈঠকের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বিহারের আরওয়ালে আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবের সঙ্গে আরএলএসপি প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা বৈঠক করেন। যে বৈঠক ঘিরে এই মুহূর্তে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। তবে বৈঠক শেষে কুশওয়া বলেছেন যে নরেন্দ্র মোদীকেই আবার প্রধানমন্ত্রী বানানো তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এনডিএ-র সঙ্গে তাঁদের যে কোনও বিরোধ তৈরি হয়নি, সে ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন আরএলএসপি মুখপাত্র জীতেন্দ্র নাথ। তিনি বলেছেন, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে তাঁদের দলের নেতার বৈঠক নেহাতই কাকতালীয়। এটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল না। তাঁরা যে এনডিএ-র সঙ্গেই রয়েছেন, সেকথাও বুঝিয়েছেন জীতেন্দ্র। অন্যদিকে, এক আরজেডি নেতা দাবি করেছেন যে, তাঁদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরএলএসপি-র নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ওই নেতা আরও বলেছেন, "আমরা আশা করছি যে, কুশওয়াহা মহাজোটে শামিল হবেন।"
অন্যদিকে, আসনসংখ্যা নিয়ে এদিন সরব হয়েছেন বিহারে এলজেপি প্রধান পশুপতি কুমার পারস। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, সাতটির কম আসনে কিছুতেই ভোটে লড়তে রাজি হবে না তাঁর দল। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিজেপি ও জেডিইউ সম্ভবত ১৬ ও ১৭টি আসনে লড়তে চলেছে। যেখানে চার-পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হতে পারে এলজেপিকে। দু-তিনটি আসন পেতে পারে আরএলএসপি।
Read the full story in English