লোকসভায় বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির কটূক্তিমূলক শব্দ ব্যবহার নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। দানিশ আলি ও অন্যান্য বিরোধী সাংসদরা যখন বিধুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েছেন, সেই সময় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অন্য অভিযোগ করেছেন।
নিশিকান্ত দুবের বক্তব্য
তাঁর অভিযোগ, দানিশ আলিই ঘটনার দিন রমেশ বিধুরিকে উসকে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নিন্দাসূচক কথাবার্তা বলে উত্তেজিত করেছিলেন। যার কারণে, মেজাজ হারিয়ে ফেলে সভায় কটূক্তি করেছেন রমেশ বিধুরি। শুধু এই অভিযোগ করেই থামেননি নিশিকান্ত দুবে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধী নেতারা সভায় একের পর এক কটূক্তি করে গিয়েছেন। যার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। পালটা, তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন বলে দাবি জানিয়েছেন দানিশ আলি। তিনি নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন। আদালতে দুবেকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দানিশ আলির অভিযোগ বিধুরি কটূক্তি করে সংসদে কার্যত তাঁকে নিগ্রহ করেছেন। এবার সংসদের বাইরে তাঁকে নিগ্রহের জন্য ফন্দি আঁটছেন বা পরিকল্পনা তৈরি করছেন নিশিকান্ত দুবে।
স্পিকারের অবস্থান
স্পিকার যাবতীয় অভিযোগ শুনেছেন। তার প্রেক্ষিতে লোকসভা সচিবালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, 'প্রিভিলেজ কমিটি স্বাধিকার ভঙ্গের বিষয়ে সমস্ত পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখবে।' এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের আশঙ্কা, বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে যাওয়ায় দানিশ আলি ন্যায়বিচার পাবেন না। কারণ, লোকসভার ১৪ সদস্যের প্রিভিলেজ কমিটির প্রধান সুনীল কুমার সিং-সহ বিজেপির আট সদস্য রয়েছেন। অন্যান্য দলের সদস্য সংখ্যা সেখানে ৬ জন।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তখন ইচ্ছেমত মেসেজের দিন ফুরোচ্ছে, কী ভাবছে মোদী সরকার?
বিতর্কের সূচনা
গত সপ্তাহে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে 'চন্দ্রযান ৩' অভিযান নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় বিজেপির দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ রমেশ বিধুরি 'ভদওয়া' (পিম্প), 'কাটোয়া' (খৎনা করা) এবং 'মোল্লা আতঙ্কবাদী' (মুসলিম সন্ত্রাসী) বলে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির প্রতি কটূক্তি করেন। দানিশ আলি সেই সময় সংসদে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, বিধুরি তাঁকে ওই সব মন্তব্য করে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান। তার প্রেক্ষিতে স্পিকারের কাছে চিঠিতে অভিযোগ জানান দানিশ আলি। স্পিকার অবশ্য তৎক্ষণাৎই মিশনের ওপর আলোচনার রেকর্ড থেকে বিধুরির মন্তব্য বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।