অশান্ত মণিপুর! সংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে উত্তাল। এর মাঝেই বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়ার' তরফে কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে লোকসভায়। পাশাপাশি কেসিআরের দল বিআরএসও পৃথক আরেকটি অনাস্থা এনেছে বুধবারই।
মণিপুর ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে
কংগ্রেস এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি মণিপুর ইস্যুতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য পৃথক নোটিস জমা দেয় বুধবার। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিরোধীরা মনিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি করে আসছে।
কংগ্রেস এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) বুধবার মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য নোটিস জমা দিয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের পর এখন স্পিকার এখন শীঘ্রই এই বিষয়ে বিতর্কের দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন। লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ লোকসভা স্কিপারের কার্যালয়ে এই বিষয়ে একটি নোটিস জমা দিয়েছেন। ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) ফ্লোর নেতা নাগেশ্বর রাও স্পিকারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য একটি পৃথক নোটিশ জমা দিয়েছেন। অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের পর এখন স্পিকার ঠিক করবেন কবে এই প্রস্তাবের উপর আলোচনা এবং ভোটাভুটি হবে। ভোটাভুটি শেষে অনাস্থা পাশ হলে সরকারকে ইস্তফা দিতে হয়, না হলে সরকার টিকে যাবে।
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই মণিপুরে হিংসা নিয়ে সরগরম সংসদ ভবন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার বিরোধী নেতাদের এই ইস্যুতে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ উভয় কক্ষে আমি যে কোন ধরনের দীর্ঘ আলোচনার জন্য প্রস্তুত।‘মণিপুরে দুই মহিলার একটি ভাইরাল ভিডিও নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে ২০শে জুলাই শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন।
সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই আজ কংগ্রেস ও বিআরএসের তরফে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। যদি বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়, তাহলে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। লোকসভার যে কোনও সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন। প্রস্তাবের সপক্ষে লোকসভার অন্তত ৫০ জনের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায়, লোকসভা এবং রাজ্যসভা আজ শুরু হওয়ার পর থেকে দুবার মুলতবি করা হয়। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার নিয়ম অনুসারে, ন্যূনতম ৫০ জন সাংসদকে প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী স্পিকার আলোচনার জন্য একটি তারিখ ঘোষণা করবেন, যা আগামী ১০ দিনের মধ্যে হতে হবে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, ‘এই অধিবেশনে সরকার মণিপুর নিয়ে একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেয়নি’। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, অমিত শাহকে লেখা তার চিঠিতে বলেছেন, “মনে হচ্ছে হাউসে এসে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আঘাত হেনেছে”।