Advertisment

তৃণমূলে লুইজিনহো ফেলেইরো, কংগ্রেস পরিবারকে একত্রিত করে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের বার্তা

'লড়াইয়ে ক্ষেত্রে কংগ্রেস হাতগুটিয়ে বসে থাকলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বিজেপির কাছে মাথা নোয়াতে পারব না।গোয়ায় সূর্যদয় হবে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
former goa chief minister luizinho faleiro join tmc

তৃণমূলের পতাকা হাতে লুইজিনহো ফেলেইরো।

বুধবার তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। তিনি একা নন, গোয়ার হাত শিবিরের ছয় জন নেতা মোট ১০ জন আজ জোড়-ফুল পতাকা হাতে নিয়েছেন। ফলে, বাংলা ছাড়িয়ে এবার দেশের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, অসম ও গোয়ায় বিস্তারলাভ করল তৃণমূল।

Advertisment

বিগত ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরো। হাত শিবিরের প্রতীকেই তিনি দু'বার সাংলদ ও সাতবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। হঠাৎ কেন তাঁর দল পরিবর্তন? জবাবে আরব সাগরের তীরবর্তী ছোট্ট রাজ্য গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস পরিবার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। একাধিক দল গড়ে উঠেছে। এটাই সেরা সময় কংগ্রেস পরিবারকে একত্রিত হয়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের।'

এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতা, সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন ফেলেইরো। কিন্তু, সাংবাদিক বৈঠকে বেশি শব্দ খরচ করেছেন ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস পরিবারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে।

আরও পড়ুন- ভবানীপুরের ভোটের আগেই ‘বিজেপি বাঙালি বিরোধী’ তত্ত্ব খুঁচিয়ে তুললেন বাবুল

পদ্ম বিরোধী শক্তিকে একজোট করে আগামী লোকসভা লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতৃত্বের বিষয়টি সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী কিন্তু, জোটের নেতৃত্বের প্রশ্নে মতপার্থক্য রয়েছে। তৃণমূল মমতাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে প্রচার শুরু করেছে। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইস্যুতে সরাসরি মুখ খোলেননি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বলেছেন, 'লড়াইয়ে দিদির উদ্যম রয়েছে। হার না মানা মানসিকতা ওনার। নেতৃত্ব জন্য যোগ্য তিনি।'

২০২৪-এর সর্বভারতীয় প্রেক্ষিত বিবেচনা করে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু, প্রচারে হাত শিবিরকে ছেড়ে কথা বলছেন না মমতা, অভিষেকরা। মুর্শিদাবাদের মইনুল হক থেকে গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরো, একের পর কংগ্রেস নেতাতে ভাঙিয়ে দলে যোগদান করাচ্ছে তৃণমূল। এরপরও কী কংগ্রেস পরিবার একজোট হয়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন, কর্মসূচি করে লড়াইয়ে সামিল হতে পারবেন? ফেলেইরো উত্তর, 'এটাই সেরা সময় এক হয়ে লড়াইয়ের। আসা করব দেশ বাঁচাতে এটা বাস্তবায়িত হবে।'

তবে ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেসর পরিবার যে কঠিন কাজ তার ইঙ্গিত এ দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথাতেই মিলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লড়াইয়ে ক্ষেত্রে কংগ্রেস হাতগুটিয়ে বসে থাকলে আমাদের কিছু করার নেই। ওরা টুইটার, সোশাল মিডিয়ায় লড়ছে। আর আমরা পথে নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছি, সোচ্চার হচ্ছি। আমরা বিজেপির কাছে মাথা নোয়াতে পারব না। কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রধান পার্থক্য হল যে, একটি দল গত সাত বছর ধরে বিজেপির কাছে পরাস্ত। অন্য দলটি ওি সময়কালেই বিজেপির বি্রুদ্ধে জিতছে। গোয়ায় সূর্যদয় হবে।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

abhishek banerjee tmc
Advertisment