‘অযোধ্যা ও কাশীতে বিশাল মন্দির নির্মাণ চলছে, এর পরে মথুরায় মন্দিরের প্রস্তুতি শুরু হবে।’ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি এবং আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়। এর মধ্যেই ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেশব প্রসাদ মৌর্য্য। তাঁর সাফ দাবি, ২০১৭ সালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে 'লুঙ্গি ছাপ' গুন্ডারাই রাজ্যে অবাধে ঘুরতো এবং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে তাঁদের জমি দখল করত।
Advertisment
প্রয়াগরাজে ব্যবসায়ীদের এক সভায় গিয়ে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য প্রশ্ন তোলেন, '২০১৭ সালে ভোটের আগে অবাধে কত গুন্ডা ঘোরাফেরা করত? বন্দুক হাতে জালিদার টপি পরা… ব্যবসায়ীদের কে হুমকি দিত?' এরপরই তাঁর জিজ্ঞাস্য, 'বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এই ধরণের গুন্ডাদের আর দেখতে পান?'
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য
মথুরায় কৃষ্ণের জন্মস্থান বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কিন্তু সেটা মসজিদের অভ্যন্তরেই বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। কৃষ্ণের ‘জন্মস্থান’ থেকে মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নতুন মন্দির নির্মাণের আর্জি জানিয়ে করা মামলা গত বছর খারিজ করে দেয় একটি আদালত। কিন্তু তাতেও দমেনি হিন্দুত্ববাদীরা। আরও এক মামলায় মসজিদের বদলে সেখানে কৃষ্ণের মন্দির স্থাপনের আর্জি জানানো হয়েছে। আবেদনেউল্লেখ, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মসজিদের একাংশ দখল করে মসজিদটি গড়েন। যদিও এর প্রমাণ এখনও মেলেনি।
Advertisment
এরমধ্যেই অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আগামী সোমবার মথুরা অভিযানের ডাকেছিল। মসজিদের মধ্যে কৃষ্ণের বিহ্রগ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে সংগঠনি। কিন্তু, প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় আপাতত নিজেদের অভিযান প্রত্যাহার করেছে হিন্দু মহাসভা।
কিন্তি এতে বিতর্ক থামেনি। গত বুধবার উপমুখ্যমন্ত্রীর টুইট, 'অযোধ্যা ও কাশীতে বিশাল মন্দির নির্মাণ চলছে, এর পরে মথুরায় মন্দিরের প্রস্তুতি শুরু হবে।' সবমিলিয়ে ঈশান কোণে মেঘের সঞ্চার বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও মোর্য্যের বার্তায় সন্তুষ্ট নয় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি বিজেপি 'ভোট রাজনীতি' করছে।