অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। প্রত্যাশা মতোই ডিএমকের সভাপতির আসনে বসলেন করুণানিধি পুত্র এম কে স্ট্যালিন। চেন্নাইয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে সাধারণ পরিষদের সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিএমকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন স্ট্যালিন। সি এন আন্নাদুরাই ও করুণানিধির পর তিনি ডিএমকে-র সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। অন্যদিকে, দলের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ডিএমকে-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দুরাই মুরুগান। অন্যদিকে, সদ্য প্রয়াত করুণানিধিকে ভারতরত্ন দেওয়ার প্রস্তাব উঠল দলের সাধারণ পরিষদের সভায়। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন প্রায় ৪ হাজার সদস্য।
গত প্রায় ৫ দশক ধরে ডিএমকের সঙ্গে রয়েছেন স্ট্যালিন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে দলের হয়ে প্রচার করেছিলেন করুণানিধি পুত্র। ১৯৬৭ সালে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভোটপ্রচারে নেমেছিলেন স্ট্যালিন। তখন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত স্ট্যালিন। দলের যুব শাখার সেক্রেটারি, সহ সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, ও কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন স্ট্যালিন। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় দলের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। স্ট্যালিন চেন্নাইয়ের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে করুণানিধি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন,DMK chief Karunanidhi passes away: ডি এম কে নেতা করুণানিধি প্রয়াত
দলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্ট্যালিনের সামনে প্রথম পরীক্ষা হল তিরুপরনকুন্দ্রমের উপনির্বাচন, যা হওয়ার কথা ডিসেম্বরে। একইসঙ্গে উনিশের লোকসভা ভোটও উল্লেখযোগ্য স্ট্যালিনের জন্য। অন্যদিকে,করুণানিধির আরেক পুত্র আলাগিরির সঙ্গে কয়েকবছর ধরে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে দলের। ভাই-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব সামলে ঘুরে দাঁড়ানোটাও স্ট্যালিনের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।