ঈর্শ্বনীয় তাঁর ফেসবুক লাইভের জনপ্রিয়তা। তাঁর লাইভ মানেই দর্শক, অনুগামীরা বলে ওঠেন 'ও লাভলি'। কিন্তু, আপাতত সেই মদন মিত্রই ফেসবুক, ইনস্ট্রা বা যেকোনও সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লাইভ করবেন না বলে জানালেন।
Advertisment
কিন্তু কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত?
বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফেসবুক লাইভ করেছেন কামারহাটির 'কালারফুল' বিধায়ক মদন মিত্র। লাল পাঞ্জাবিতে মিনিট পঁচিশের লাইভে আর লাইভে না আসার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আমি কোনও ফেসবুক লাইভ, ইনস্ট্রা বা কোনওভাবেই কোনও সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আসব না। যদি বলেন কেন? তুমি কী কোনও অপরাধ করেছো? বলবো না। তোমার বিরুদ্ধে কী কোনও শ্লীলতাহানি, অশ্লীলতার অভিযোগ আছে? না। তোমার কী টিআরপি কমে যাচ্ছে? না। তোমার ফেসবুক লাইভ বা ইনস্ট্রা বলে কী মানুষ রেগে যায়? না। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে বা বয়স্ক মায়েরা কী রেগে উঠে চলে যায়? আমিবলব না।'
এরপরই মদনের সংযোজন, 'তাহলে আমি ছাড়ব কেন? আমার কাছে কোথাউ থেকে একটা নির্দেশ বা ইঙ্দিত এসেছে যে মদন মিত্র তুমি ফেসবুক ছেড়ে দাও। বেশি ফেসবুক কোরো না। যদি বেশি ফেসবুক করো তোমার ফেসলুকের যে গ্ল্যামার সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যখন নির্দেশ এসেছে আমি করবো না।'
তৃণমূল বিধায়কের সাফ বক্তব্য, 'আমি ফেসবুক করিতো তৃণমূল কংগ্রেসের দয়ায়। আমার ফেসবুক মদন মিত্র বা বিধায়ক বলে মানুষ দেখে না। সাধারণ কর্মী হিসাবেই আমার কথা শোনে। তাই আমি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলছি একদম ব্যাস ক্ষতম। মদন মিত্র আর ফেসবুক, ইনস্ট্রা করবে না আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত।'
এরআগেও মদন মিত্রের ফেসবুক লাইভ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাহারি লুকের মদন সবসময়ই থেকেছেন চর্চার কেন্দ্রে। নিজের লুকসের কারণেই সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনের কর্মীভাতে দলের পুরনো সাথী মদন মিত্রের প্রশংসা করেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। মদনকে 'কালারফুল' বলে সম্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য বিতর্ককে কেন্দ্র করে দলের মহাসচিবের নির্দেশের পর মদন মিত্র নিজস্ব ঢঙে ফেসবুক লাইভেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা। তারপরই মদন মিত্র ঘোষণা করলেনযে, তিনি আপাতত আর ফেসবুক লাইভ করবেন না।