মধ্যপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে মঙ্গলবার দুপুর-বিকেলের মধ্যেই। এই অবস্থায় শেষ মুহূর্তে একজিট পোলের হিসেব দেখে প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। অগত্যা নির্দল প্রার্থী এবং বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে হাত মেলাতে মরিয়া বিজেপি।
শাসক দলের এক বর্ষীয়ান নেতার কথায়, "মধ্যপ্রদেশে এর আগে আমাদের কখনও জোট গড়তে হয়নি। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল দলের সদস্যদের কিঞ্চিৎ চিন্তায় ফেলেছে। দৌড়ে টিকে থাকার জন্য আমরা তৈরি"। অন্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসও হৃদ্যতা বাড়াচ্ছে, এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা।
আরেক বিজেপি নেতাও জানাচ্ছেন, "আমারও বিশ্বাস এমনটা হচ্ছে, রাজনীতিতে এটা খুব অস্বাভাবিকও নয়। এতদিন পর্যন্ত নির্বাচনে রাজ্যে মানুষের রায় স্পষ্ট থাকত। এখন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, যারা স্বাধীন ভাবে নির্বাচন লড়েছেন, তাঁদের মন জয় করা"।
প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রায় জনা পঞ্চাশ সদস্য নির্বাচনের আগে দল থেকে বেরিয়ে স্বাধীন ভাবে লড়েছেন। দল থেকেই বিতাড়িত করা হয়েছিল এদের।
মধ্যপ্রদেশের সাতনার এক বিজেপি নেতা স্বিকার করে নিয়েছেন, তিনি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল দেখে বিএসপি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন ইতিমধ্যেই। ২০১৩ সালেও বিজেপি এখানে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস এবং বিএসপি মিলিয়ে আরও তিনটি।
মরিনা জেলার আম্বার বিএসপি বিধায়ক সত্যপ্রকাশ সাখাওয়ার জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না, "অগত্যা আমাদের দলের সঙ্গে অথবা স্বাধীন প্রার্থীদের সঙ্গে হাত মেলানো ছাড়া উপায় নেই। দুদলেরই যখন আমাদের দরকার, এমন পরিস্থিতিতে মায়াবতী সম্ভবত কংগ্রেসের দিকেই যাবেন"।
Read the full story in English