'কংগ্রেসের মতো বিজেপিতেও পরিবারতন্ত্র', বলছেন বিজেপিরই বিধায়ক!

পরিবারতন্ত্র নিয়ে অবশ্য রবিবারই রাহুল গান্ধিকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, "রাহুল জি, নিজে রাজনীতি বোঝেন না, আবার পারিবারিক কারণে তা ছাড়তেও পারেন না"।

পরিবারতন্ত্র নিয়ে অবশ্য রবিবারই রাহুল গান্ধিকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, "রাহুল জি, নিজে রাজনীতি বোঝেন না, আবার পারিবারিক কারণে তা ছাড়তেও পারেন না"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল ছবি-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

'কংগ্রেসের মতো পরিবার তন্ত্র গ্রাস করছে বিজেপিকেও', অভিযোগ আসল বিজেপি-র ভেতর থেকেই। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক, ঊষা ঠাকুর তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ এনেছেন।

Advertisment

ইন্দোর-৩ কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক এবার আম্বেদকর নগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যেটি কিনা ইন্দোর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। আর, ইন্দোর-৩ কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আকাশ বিজয়বর্গী। আকাশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীর ছেলে।

publive-image বিধায়ক ঊষা ঠাকুর

Advertisment

সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঊষা ঠাকুর অভিযোগ করছেন, বিজয়বর্গী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কাছে ছেলের জন্য ভোটের টিকিট চেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গী।

আরও পড়ুন, “ভারত আমার বাবার দেশ, এখান থেকে কেউ আমায় তাড়াতে পারবে না”

"রাজনীতি আমার কাছে একটা আদর্শ। এখান থেকে কমিশন পাব বলে রাজনীতিতে ঢুকিনি। কোনও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আমি এখানে আসিনি। আমার সঙ্গে রাজনৈতিক অন্যায় হয়েছে। কংগ্রেসের মতো বিজেপিকেও গ্রাস করে নিচ্ছে পরিবারতন্ত্র", বলেছেন ঊষা ঠাকুর।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে এই মন্তব্য অস্বীকার করেননি ঊষা দেবী। কিন্তু এই জানিয়েছেন, "শুধু আমার উত্তরটা সব জায়গায় শোনানো হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্নটা কেউ জানতেই পারছে না"।

কৈলাস বিজয়বর্গী অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি এই প্রসঙ্গে। কিন্তু বিজেপির বেশ কয়েকজন সদস্য ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন। গোভিন্দ মালু বলেছেন, "দল থেকে এত কিছু পেয়েও, এমন কী ভোটের টিকিট পেয়েও কয়েকজন জনসমক্ষে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। অথচ যারা টিকিট পেলেন না, তাঁদের নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না"।

পরিবারতন্ত্র নিয়ে অবশ্য রবিবারই রাহুল গান্ধিকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, "রাহুল জি, নিজে রাজনীতি বোঝেন না, আবার পারিবারিক কারণে তা ছাড়তেও পারেন না"।

Read the full story in English