মধ্যপ্রদেশের ধাড় জেলার বোরলাই গ্রামে গণপ্রহারে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। গণপ্রহারে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, আহত হন পাঁচজন।
পুলিশ জানিয়েছে, উন্মত্ত জনতাকে বোঝানো হয় যে এলাকায় শিশুচোরদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে, এবং এই জনতার নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা রমেশ জুনাপানি। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে উজ্জয়িনী এবং ইন্দোর জেলা থেকে আসা ওই ছয় কৃষককে মারধর করার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণপ্রহারের শিকার ওই ছয় কৃষক খিড়কিয়া গ্রামে যান কয়েকজন মজুরের কাছ থেকে অগ্রিম বেতন বাবদ দেওয়া আড়াই লক্ষ টাকার কিছু অংশ উদ্ধার করতে। তাঁদের দাবি, অগ্রিম টাকা পাওয়া সত্ত্বেও কাজে আসেন নি ক্ষেতমজুররা। সেই হিসেবে ওই কৃষকদের পাওনা ছিল আন্দাজ দেড় লক্ষ টাকা।
যে থানার আওতায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেই মানাওয়ার থানার ওসি সমেত পাঁচজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এবং একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। ধাড়ের পুলিশ সুপার এ পি সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান যে ওই বিজেপি নেতা সমেত চারজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং মূলত ভিল আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামে খোঁজ চলছে বাকি অভিযুক্তদেরও।
এদিকে এই বিষয়ে বাকযুদ্ধে মেতেছে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি। গেরুয়া শিবির এই ঘটনাকে 'তালিবানি ধরনের' বিচার আখ্যা দিয়েছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কথায়, "মধ্যপ্রদেশ এখন হয়ে গেছে তালিবান প্রদেশ। মানুষজনকে পিটিয়ে, পাথর ছুড়ে মারা হচ্ছে।" তিনি আরও দাবি করেন যে গ্রামে যাওয়ার আগে পুলিশকে সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলার সমস্যার কথা জানিয়ে যান ওই কৃষকরা, অথচ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।
পাল্টা জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী গোবিন্দ সিং মন্তব্য করেছেন যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে আরএসএস এবং বিজেপি কর্মীদের মানসিকতার ফলে।