Advertisment

ভোটে দাঁড়াতে চান? ন্যূনতম যোগ্যতা ১৫হাজার ফেসবুক লাইক, ৫০০০ টুইটার ফলোয়ার

ফেসবুক, টুইটার ব্যবহার করলেও হোয়াটসঅ্যাপে যে অতিরিক্ত নজর দেওয়া হবে সে কথা বলছে দু পক্ষই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সোশাল মিডিয়াকে মধ্যপ্রদেশ ভোটে অন্যতম হাতিয়ার করতে চায় কংগ্রেস বিজেপি।

মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে টিকিটপ্রার্থীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কমিটি। রাজ্য কংগ্রেসের সুস্পষ্ট ফরমান, প্রার্থীদের সোশাল মিডিয়ায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি না থাকলে তাঁদের প্রার্থী করা হবে না। যথেষ্ট প্রতিপত্তি বলতে কী বোঝায়, সে নিয়ে কোনও রকম ধোঁয়াশা রাখেনি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। বলে দেওয়া হয়েছে, ফেসবুক পেজে ১৫ হাজার লাইক এবং টুইটারে ৫০০০ ফলোয়ার ছাড়া কাউকেই কংগ্রেসের টিকিটে লড়তে দেওয়া হবে না। এ সম্পর্কিত চিঠি হাতে এসেছে সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের।

Advertisment

এখানেই শেষ নয়। টিকিটের আবেদনকারীদের বুথ লেভেল কর্মীদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকতে হবে, এবং মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা প্রতিটি পোস্ট লাইক এবং রিটুইট করতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের এ সম্পর্কিত প্রমাণপত্র ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কাছে দাখিল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

publive-image এই সেই চিঠি

মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচার শুধু ময়দানে নয়, সোশাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট উঁচু তারেই বাঁধা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি-র ৬৫ হাজার সাইবার যোদ্ধা, কংগ্রেসের ‘রাজীব কে সিপাহি’-র সঙ্গে সাইবারস্পেসে মহড়া নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেশাল মিডিয়ায় ভোটারদের জয় করতে মরিয়া দুপক্ষই।

গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাইবার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিবরাজ সিং দাবি ঘোষণা করেছিলেন, পার্টি গত তিন মাসে ৬৫ হাজার সাইবার যোদ্ধাকে নিয়োগ করেছে, এবং আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও পাঁচ হাজারজনকে নিয়োগ করা হবে।

অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেস প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীর নামাঙ্কিত ‘রাজীব কে সিপাহি’ নামে সোশাল মিডিয়া টিম গঠন করে  ৪০০০ জনকে নিয়োগ করেছে। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের আইটি সেলের ভারপ্রাপ্ত ধর্মেন্দ্র বাজপেয়ী জানিয়েছেন, আরও ৫০০০ জনকে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। তিনি বলেছেন, ‘‘গত ২৫ জুন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।’’

ফেসবুক, টুইটার ব্যবহার করলেও হোয়াটসঅ্যাপে যে অতিরিক্ত নজর দেওয়া হবে সে কথা বলছে দু পক্ষই। বাজপেয়ী বলেছেন, ‘‘ভোটের সময়ে হোয়াটসঅ্যাপই হবে আমাদের মুখ্য অস্ত্র।’’

বিজেপি-র ক১শলের কতা বলতে গিয়ে দাবি জানিয়েছেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপে আমরা দ্বিগুণ সক্রিয় থাকব। গ্রামের মানুষ ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোনোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপই।’’ তিনি বলেন, কংগ্রেসের ১০ দিনের গাঁও বনধ কর্মসূচি রুখতে তাঁরা সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি আইটি সেল প্রধান।

CONGRESS bjp
Advertisment