জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়েছেন। গোয়ালিয়রের রাজপরিবারের এই সদস্যের সঙ্গেই হাত যোগ ছিন্ন করেছেন আরও ১৯ কংগ্রেস বিধায়ক। মঙ্গলবারই বিধানসভা থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ট এই বিধায়করা। বিজেপির দাবি, আরও তিন কংগ্রেস বিধায়কও দল পাল্টে তাদের শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ফলে বিধানসভায় কার্যত সংখ্যালঘু কমলনাথ সরকার। এই পরিস্থিতিতে বহু যুদ্ধের নায়ক কমলনাথ কী তাঁর সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবেন? নাকি মধ্যপ্রদেশে ফুটবে কমল? বিধানসভায় কবে হতে পারে আস্থা ভোট? এই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভার 'সর্ব শক্তিমান' স্পিকারের ভূমিকা।
মঙ্গলবারই ১৯ কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা পেয়েছেন স্পিকার এন পি প্রজাপতি। তবে, বাকি তিন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফাপত্র তাঁর কাছে পৌছায়নি বলেই দাবি স্পিকারের। মঙ্গলবারই স্পিকার এন পি প্রজাপতি জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই কর্তব্য পালন করবেন তিনি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ ১৯ কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পর পরই গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে কংগ্রেসর পরিষদীয় দলের বৈঠক বসে। কমলনাথের বাড়িতেই হয় বৈঠক। কিন্তু, সেই বৈঠকে যাননি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিরকার তথা গোটেগাঁওয়ের বিধায়ক প্রজাপতি।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? মহাসংকটে কমলনাথ সরকার
আদামী ১৬ মার্চ থেকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। বিজেপি মঙ্গলবার থেকেই সুর চড়িয়ে বলতে শুরু করেছে যে কমলনাথ সরকার সমখ্যালঘু। নৈতিকতার বিচারে এই সরকারের কোনও গুরুত্ব নেই। তবে, সবটাই বিধানসভায় প্রমাণযোগ্য। এই পরিস্থিতিতে তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্পিকার প্রজাপতির ভূমিকা। ১৯ পদত্যাগী বিধায়কের ইস্তফা কী গ্রহণ করবেন প্রজাপতি? কমলনাথ সরকারের আস্থাভোট কবে হতে পারে অথবা কোনও প্রস্তাব এনেই কী সমাধানের পথে যাবেন স্পিকার? আপাতত সেদিকেই লক্ষ্য যুযুধান কংগ্রেস, বিজেপি নেতৃত্বের।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের পতন ঘটে। ১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশেরে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। দ্বিগিজয় সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের পিছনে ফেলে কমলনাথ হন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে জিতলেও বিজেপির সঙ্গে আসন সংখ্যার খুব একটা ফারাক ছিল না। ২৩০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সপা-বসপা-নির্দল মিলিয়ে কমলনাথ সরকারকে সমর্থন করেন ১২১ জন বিধায়ক। বিজেপির দখলে ১০৭ বিধায়ক। কিন্তু, ১৯ কংগ্রেস বিধায়ক পদ থেকে ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন। হাত শিবিরের আরও তিন বিধায়ক দল বদল করেছেন বলে দাবি বিজেপির। মোট ২২ বিধায়ককে হারিয়ে বর্তমানে সংখ্যালঘু কমলনাথ সরকার। দুই শিবিরেরই ১ জন করে বিধায়ক প্রয়াত। ১৯ বিধায়কের পদত্যাগপত্র স্পিকার গ্রহণ করলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২০৯। ম্যাজিক ফিগার ১০৫।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন